কমলগঞ্জে প্রতিপক্ষের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রকাশ্য দিবালোক্যে নিজ ভূমিতে লাগানো গাছ কেটে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কমলগঞ্জ থানায় লিখিত এজাহার সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৮ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় মাধবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও (টিলাগাঁও) গ্রামের মৃত ছাদ মিয়ার নিজ ভূমিতে ফলানো ২টি বৃহৎ আকারের গাছ একই গ্রামের পাশ্ববর্তী মৃত আং রহমানের ছেলে জুনায়েদ মোলা ও তার ভাই খালেদ মিয়া বাঁধা অমান্য করে জোরপূর্ব্বক কেটে ফেলে। এ সময় মৃত ছাদ মিয়ার মেয়ে জলিকা বেগম (৩৫) এগিয়ে এসে গাছ কাটতে আপত্তি জানালে নানাভাবে হুমকি প্রদর্শন করা হয়। আলাপকালে ছাদ মিয়ার ভাতিজা মোঃ আলিম উদ্দিন বলেন, জুনায়েদ মোলা নোয়াগাঁও তালিমূল কোরআন মাদ্রাসার ছাত্রদের ব্যবহারে গাছগুলো কেটে ফেলে। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আহাদও স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন গাছ কাটতে বাঁধা দেন। বাঁধা অমান্য করে তারা ১টি পরশমনি ও ১টি বেলজিয়াম গাছ কেটে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। কর্তনকৃত গাছগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০ হাজার টাকা হবে।
এ ব্যাপারে নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত ছাদ মিয়ার মেয়ে জলিকা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে বৃহষ্পতিবার কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরদিন শুক্রবার দুপুরে কমলগঞ্জ থানার এএসআই সুরঞ্জিত দাশ সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার ব্যাপারে গতকাল ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে আলাপকালে অভিযুক্ত নোয়াগাঁও গ্রামের জুনায়েদ মোলা এ প্রতিনিধিকে জানান, গাছ কাটার ঘটনা সঠিক। তবে তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন। কমলগঞ্জ থানার এএসআই সুরঞ্জিত দাশ গতকাল মঙ্গলবার আলাপকালে জানান, গাছ কাটার ঘটনাটি তিনি সরেজমিন তদন্ত করেছেন। তবে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষের চেষ্টা চলছে।