কমলগঞ্জে কাঠ উদ্ধারকালে বিজিবি সদস্যরা ঘেরাও অতঃপর…
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নে গভীর রাতে চোরাই সেগুন কাঠ উদ্ধারকালে নারী পুরুষ সমন্বয়ে কাঠ চোরচক্র বিজিবি সদস্যদের ঘেরাও করে রাখে। অবশেষে জনপ্রতিনিধির সহায়তায় মুক্ত হয়ে বিজিবি সদস্যরা চোরাই সেগুন কাঠ উদ্ধার করে। গত ২২ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় কুরমা বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা আদমপুরের উত্তরভাগ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি বনরেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় কুরমা সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার নূরুল আমীনের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা আদমপুরের উত্তরভাগ গ্রামের একটি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। কাঠ উদ্ধার অভিযানকালে শতাধিক নারী পুরুষ সমন্বয়ে দা লাঠি নিয়ে বিজিবি সদস্যদের ঘেরাও করে রাখে। পরবর্তীতে ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলেমান মিয়ার সহায়তায় বিজিবি সদস্যরা মুক্ত হয়ে গোপন আস্তানা থেকে ১৩ টুকরোয় ২৬ দশমিক ৪৩ ঘনফুট সেগুন কাঠ উদ্ধার করে। কুরমা বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার নূরুল আমীন এ প্রতিনিধিকে বলেন, কুরমা বনবিট কর্মকর্তা গভীর বনে টহলে থাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যা একাই অভিযান চালায়। ফলে কাঠচোর চক্র মহিলাদের সাথে নিয়ে দা ও লাঠি নিয়ে বিজিবি সদস্যদের চার দিক থেকে ঘেরাও করে রাখে। এসময় স্থানীয় আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তা কামনা করলে তিনি অন্যত্র ব্যস্ত থাকায় তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে আসতে পারেননি। তখন বাধ্য হয়ে পার্শ্ববর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলেমান মিয়াকে ফোন করে সহযোগিতা কামনা করলে তার সহযোগিতায় ঘেরাও মুক্ত হয়ে বিজিবি সদস্যরা চোরাই কাঠ উদ্ধার করে। বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার আরও বলেন, এ ব্যাপারে গতকাল ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার উদ্ধারকৃত চোরাই সেগুন কাঠ কুরমা বনবিটে জমা করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাব্বির আহমদ ভূঁইয়া কাঠ উদ্ধারের কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি ঘটনাস্থল থেকে বেশ দূরে একটি অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকায় সোমবার রাতে উত্তরভাগ গ্রামে যেতে পারেননি। কুরমা বনবিট কর্মকর্তা রবীন্দ্র কুমার সিংহ চোরাই সেগুন কাঠ উদ্ধারের কথা স্বীকার করে বলেন, বিজিবি সদস্যরা যখন কাঠ উদ্ধারে অভিযান চালায় তখন ঘটনাস্থল থেকে তিনিও সাথী বনকর্মীরা বেশ দূরে বনের ভিতরে ছিলেন। সেজন্য বিজিবির অভিযানে যুক্ত হতে পারেননি। তবে কমলগঞ্জের রাজকান্দি বনরেঞ্জ কর্মকর্তা প্রভাত কুসুম আচার্য্য বিজিবির অভিযান ও ঘেরাও হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভাগ্য ভাল সময়মত ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলেমান মিয়া এগিয়ে আসায় বিজিবি সদস্যরা গভীর রাতে কাঠ চোরচক্রের বড় ধরনের হামলার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।