মনু নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙনের আশংকা
নুরুল ইসলাম শেফুল : জেলার রাজনগর উপজেলার শ্বাসমহল গ্রামে শুক্রবার রাতে মনুনদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধে ৭০ ফুটেরও বেশি জায়গায় ভাঙনের আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ওই এলাকার মানুষদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৫০০ খালি পস্নাস্টিকের বসত্মা পাঠিয়েই তাদের কাজ শেষ করেছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলায় মনুনদীর উভয় তীরে ২২টি স্থান ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার রাতে উপজেলার শ্বাসমহল গ্রামে শুক্রবার রাতে মনুনদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধে ৭০ ফুটেরও বেশি জায়গায় ভাঙনের আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভাঙনের মুখে থাকা একটি পুরনো মসজিদ, কবস্থান ও শ্বাসমহল গ্রামের কয়েকটি বাড়ি ভাঙনের মুখে পড়েছে। শ্বাসমহল গ্রামের আব্দুল কাইয়ূম (৭০) বলেন, ‘আমি ৩ বার পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে বাঁধ মেরামতের জন্য লিখিত আবেদন করেন। তারা কয়েক বার তা দেখে মেরামতের আশ্বাস দিয়ে যান। কিন্তু এখন বাঁধ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় কয়েকটি বসত্মা পাঠিয়েছেন। তারা বলেছে আমরা যেন মেরামতের কাজ সারি। তিনি আরও বলেন, তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করলেও ৫০ বছরের পুরনো মসজিদ, কবরস্থান ও আমাদের কয়েকটি বাড়ি রক্ষা করতে পারবো না।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মনুনদীর রাজনগর এলাকায় শ্বাসমহল, হরিপাশা, উজিরপুর, একামধু, আদিনাবাদ, কোনাগাঁও, শ্যামেরকোনা, মুর্তিকোনা, কাজিরচক, জাঙ্গালিয়া, দসত্মদারের চক, খাসপ্রেমনগর, প্রেমনগরসহ ২২টি স্থান ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব ভাঙন মেরামতে চলতি বছর কোন কাজ হয়নি। শ্বাসমহল এলাকায় গত অর্থবছরে ভাঙন রোধে ৪০ মিটার বস্নক ফেলা হয়। পানি উন্নয়ন বোডের্র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নাজির আহমদ বলেন, শ্বাসমহল এলাকায় মনুনদীর ভাঙন রোধে কাজ করা হবে। বর্তমানে কোন বরাদ্দ নাই। ভাঙনকবলিত এলাকায় ভূমি পাওয়া গেলে বাঁধ মেরামত করে দেয়া হবে।