তিনি বলেন, মাত্র একটি সভা আর বক্তব্যেই সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন অচিরেই তিনি দেশে ফিরবেন। দলও মনে করে তিনি এসে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তা আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ারকে কারাগারে পাঠানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আইন ও আদালতের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। যে আইনে এমকে আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তা যথাযথ নয়। তবুও তাকে আদালতের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এক্ষেত্রে যদি রাষ্ট্র মামলা করতো তাহলে তা যথাযথ হতো।
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সংসদ চলাকালীন বা তার ১৫ দিন আগে ও পরে কোনো এমপিকে গ্রেফতার বা আইনের আওতায় আনতে হলে স্পিকারের অনুমতি বা আইনানুগ প্রক্রিয়া মানতে হয়। একটা জামিনযোগ্য মামলায় এমকে আনোয়ারকে জামিন দেয়া হয়নি।
তিনি অনতিবিলম্বে বিএনপি নেতা এমকে আনোয়ার, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান, মো. শাজাহান, রুহুল কবির রিজভী, রুহুল কুদ্দুস তালকুদার দুলু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ আটক নেতাদের মুক্তি দাবি করেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমানকে নিয়ে সরকারি নেতাদের বক্তব্যের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়াগায় হরতাল পালন করা হচ্ছে। তাতে পুলিশ ও সরকার সমর্থকরা হামলা চালাচ্ছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে ‘কারাগারে’ পরিণত করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করছে সরকার। দলীয় কার্যালয়ে পুলিশ গাড়ি রেখে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কঠোর সমালোচনা করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, মন্ত্রীর চেয়ারে বসে দায়িত্ব জ্ঞানহীন বক্তব্য শোভনীয় নয়। ভালো কাজ করে নজির সৃষ্টি করুন।