নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া
নিউজ ডেস্ক :: বাংলার নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া দিবস আজ। এই দিনে জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছর এই দিনে দেশে সরকারিভাবে রোকেয়া দিবস পালন করা হয়। এ বছর বেগম রোকেয়ার ১৩৫ তম জন্ম ও ৮৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে।
বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে তিনি নারী জাগরণের অগ্রদূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তিনি উনবিংশ শতাব্দীর একজন খ্যাতিমান বাঙালী সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ক্ষণজন্মা এই উপমহাদেশের অবহেলিত, নির্যাতিত ও অসহায় নারীদের উন্নয়নে এই মহীয়সী নারী তার জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করেছিলেন ।
বেগম রোকেয়া শুধু একটি নাম নয়। তিনি ছিলেন নারী শিক্ষার একটি প্রতিষ্ঠান। ঊনবিংশ শতাব্দীর কুসংস্কারাচ্ছন্ন রক্ষণশীল সমাজের শৃঙ্খল ভেঙে বেগম রোকেয়া নারী জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দেন শিক্ষার আলো। তিনি তাঁর ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে নারীর প্রতি সমাজের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের মূলে আঘাত হানেন। তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ বিভিন্ন সমাজ উন্নয়নমূলক কাজের মধ্য দিয়ে পশ্চাৎপদ নারী সমাজকে আলোর পথ দেখান।
ধর্মীয় গোঁড়ামি, রক্ষণশীলতার অশিক্ষার অভিশাপ থেকে নারীদের মুক্ত করতে বেগম রোকেয়া অনন্যসাধারণ ভূমিকা পালন করেন। তার ক্ষুরধার লেখনিতে নারীর অধিকার, শিক্ষা এবং বঞ্চনার বিরুদ্ধে উচ্চারিত আহ্বান তৎকালীন নারী সমাজকে জাগিয়ে তোলে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় রোকেয়া দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে ‘বেগম রোকেয়া পদক ২০১৫’ প্রদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পদক প্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা তুলে দেবেন।
অনুষ্ঠানে সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। এ বছর রোকেয়া পদক-২০১৫ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ড. তাইবুন নাহার রশীদ এবং ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল।