মশার জীবন অবসানের সময় এসেছে
নিউজ ডেস্ক :: মশা আমাদের অতি পরিচিত এক শত্রু। এদের কামড়ে যেমন আমরা ব্যথা পাই, তেমনি এটি আমাদে বিরক্ত করতেও ছাড়ে না। বিশেষ করে, যখন ঘুমের সময় হয় তখন মশা সবচেয়ে বেশি জ্বালাতন করে।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রেও এরা এগিয়ে রয়েছে। এবার বিজ্ঞানীরা এদের মশার প্রবণতা শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আফ্রিকায় মশার দরুন কিছু মারাত্মক রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের একটি দল আণবিক জীববিজ্ঞানী টনি নোলান এবং ভেক্টর জীববিজ্ঞানী আন্দ্রেয়া ক্রিসান্টি এর নেতৃত্বে গবেষণা করে জানান, এই জিন বন্ধ্যাত্ব বৃদ্ধি করবে এবং জনগোষ্ঠীর মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। এই জিনের প্রভাবে অনেক নারী গর্ভধারণ করতে পারবেন না। অনেকের মাসিক হওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
প্রকৃতি রিপোর্ট জার্নালের পরীক্ষা অনুসারে, চতুর্থ প্রজন্মের পর ৭৫ শতাংশ মশার মাঝে এই জিন পরিলক্ষিত হবে। যারা জুরাসিক পার্ক ছায়াছবি দেখেছেন তারা জানতে পারবেন প্রকৃতির আগামীতে কত বেশি পরিবর্তন সাধিত হবে। তবে অধ্যাপক নোলান বিবিসিকে জানান, এই কাজ বাস্তুতন্ত্রের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ছাড়া সম্পন্ন করা যাবে।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩,৪০০ বিভিন্ন প্রজাতির মশা রয়েছে। যাতে উল্লেখযোগ্যভাবে অ্যানোফিলিস ম্যালেরিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যারিয়ার। আফ্রিকার ৮০০ প্রজাতির মশার মধ্যে মাত্র একটি প্রজাতি অ্যানোফিলিস রোগ বহন করে। তাই ঐ একটি মাত্র প্রজাতি ধ্বংস করতে গেলে বাস্তুতন্ত্রের উপর কোন প্রকার ক্ষতি হবে না।
সূত্র: মেট্রো।