আপনারা চাকর-বাকর ছিলেন, এখনও আছেন
নিউজ ডেস্ক: বিএনপির সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) বৈধ প্রার্থিতার বিরুদ্ধে আপিল উত্থাপিত করে তার প্রতিপক্ষ অভিযোগ করলেন যে, তিনি হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্বন্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তিনি তার হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার বিপরীতে লিখেছিলেন ‘স্বশিক্ষিত’। অথচ তিনি বিভিন্ন সময়ে নিজেকে উচ্চতম শিক্ষিত বলে অতীতে দাবি করে এসেছেন এবং অষ্টম জাতীয় সংসদে তার শিক্ষাগত যোগ্যতায় মাস্টার্স লেখা রয়েছে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন তার লেখা ‘নির্বাচন কমিশনে পাঁচ বছর’ শীর্ষক বইয়ে এসব কথা লিখেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, আমরা সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে বেশ বিপাকে পড়েছিলাম। প্রথম কারণ যে আরপিও-১৯৭২ এ হলফনামায় আট তথ্য প্রদানের বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের কারণে হুবহু অন্তর্ভুক্ত করা হলেও সংস্কারের সময়ে অসত্য তথ্য প্রদানে কি ধরনের শাস্তি হবে তা নির্ণয় করা হয়নি।
সাকা চৌধুরীর বিষয়টি পরবর্তীতে বহুল আলোচিত হয়েছিল। তাঁর ব্যঙ্গাতক বক্তব্য যেমন আমাদের হজম করতে হয়েছিল তেমনি পত্র-পত্রিকার ব্যাপক সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল। সাকা চৌধুরী তার আত্মপক্ষ সমর্থনে বলেছিলেন যে, তিনি এ ধরনের হলফনামায় ক্ষুদ্ধ। তাঁর স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী কি জিনিস তা সমস্ত জাতি জানে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্বন্ধে নতুন করে বলবার প্রয়োজন নেই। তিনি আরও বলেন যে, মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের অবৈধ সরকার রাজনীতিবিদদের হেয় করতে নির্বাচন কমিশনকে এ ধরনের আইন প্রবর্তনে চাপ দিয়েছেন। আপনারা চাকর-বাকর ছিলেন। এখনও আছেন। সূত্র: মানবজমিন।
আমি নিজে যথেষ্ট সংযম রেখে বলেছিলাম, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাহেব আপনার মত একজন রাজনীতিবিদ যিনি পিতার উত্তরাধিকারী হিসেবে পরিচিত নেতা, আপনার মুখে এ ধরনের কথা শোভা পায় না। এই অন্তর্ভুক্তি দেশের উচ্চতর আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে করা হয়েছে। অন্য কারও আদেশে নয়। আমি দৃঢ়তার সাথে বলেছিলাম, এখানে দাঁড়িয়ে আপনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আদালত অবমাননার শামিল কিনা আমি জানি না তবে আপনার অনুযোগ আদালতেই তুলতে পারেন। আমার কথা শেষ হলে সাকা চৌধুরী কিছুটা দমে গেলেন। ওই সময়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন যে, তিনি তার (সাকা চৌধুরীর) আদি অন্ত জানেন, কাজেই তিনি সনদপত্র দাখিলের জন্য সময় নিতে পারেন।