২০১৫ সালে স্বর্ণের দাম কমেছে ৯ শতাংশ
নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের বেশিরভাগ সময়ই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম নিম্নমুখী ছিল। টানা ৩ বছর ধরে দাম নিম্নমুখী থাকলেও এই মূল্যবান ধাতুর দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে ২০১৫ সালে।
আলোচ্য সময়ে এই পণ্যের দাম ৯ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।
এতে জানানো হয়েছে, বছরের বেশিরভাগ সময় আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম উঠা-নামা করলেও মূলত নিম্নমুখী ছিল এই পণ্যের দাম। চলতি মাসের শুরুতে বিশ্বজুড়ে মূল্যবান এই ধাতুর দাম শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কমার পর গত বৃহস্পতিবার শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।
অর্থাৎ মাসের শুরুতে যে দামে স্বর্ণ পাওয়া গিয়েছিল, শেষের দিকে এসে তার থেকে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ কমে পাওয়া যাচ্ছে এই ধাতু। বছরের শুরু থেকে প্রায় প্রতি মাসেই এমন চিত্র দেখা গেছে।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স (২.৪৩ ভরি) স্বর্ণের দাম ৫ দশমিক ৯০ ডলার বেড়ে ১ হাজার ৭৪ দশমিক ২০ মার্কিন ডলার হয়েছিল। কিন্তু সে দাম বেশিদিন স্থায়ী হলো না। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দাম হারায় এই পণ্যটি।
মার্চ মাসের শুরুতে বড় পতন দেখা যায় স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজারে। ওই মাসের শেষ দিকে কিছুটা বাড়লেও তা আগের দামে ফিরে যায়নি। এরপর প্রায় প্রতি মাসেই স্বর্ণের দাম কমেছে। এই মূল্যবান ধাতুর দাম মাঝে মাঝে কিছুটা বাড়লেও তা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি। অর্থাৎ ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্বর্ণের বাজার।
চলতি বছরের মার্চে বড় পতনের পর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে আবারও বড় পতন দেখা গেছে স্বর্ণের বাজারে। গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছায় এই পণ্যের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার ফলে দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। বছরজুড়ে বেশ কয়েকবার আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে স্বর্ণের দামের সমন্বয় করতে হয়েছে দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। মার্চ, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর মাসে দাম কমিয়েছিল বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)। এমনকি এক মাসের মধ্যে একাধিক বার দাম কমানোর ঘটনাও ঘটেছে দেশে।
স্বর্ণের দামের পাশাপাশি রূপা ও প্লাটিনামের দামও ছিল অনেকটা নিম্নমুখী। আন্তর্জাতিক বাজারে এই পণ্যগুলোর দাম কমার কারণে বেশ কয়েকবার মূল্য পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে দেশের বাজারেও।