সিলেটে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বর্তমান ১১ মেয়র
নিউজ ডেস্ক :: সিলেট বিভাগের ১৬টি পৌরসভায় মেয়র পদে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন বর্তমান ১১ মেয়র। সরকারের রোষানলে পড়ার ভয়ে এমনিতেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বিএনপির তিন মেয়র। বর্তমান মেয়রদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের একজন প্রার্থী রয়েছেন অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থায়। এবারই প্রথম স্থানীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটিতে দলীয় প্রার্থী দিয়ে সরাসরি রাজনৈতিক দলের প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধ হচ্ছে। ফলে অন্যান্য বছরের ন্যায় প্রার্থীদের ব্যক্তি ইমেজ, গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের প্রভাবের পাশাপাশি দলীয় পরিচিতি ও ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, সিলেটের ১৬টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে নামেন। যা প্রার্থীদের প্রচারণায় পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা। আত্মীয়স্বজন, কর্মী-সমর্থকনির্ভর প্রচারণায় লেগেছে দলীয় রঙ। বিভিন্ন পৌরসভায় দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় নামছেন জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারা। উভয় দলের নেতাকর্মীরা দলীয় প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। এমন চ্যালেঞ্জের মুখে স্বপদে টিকে থাকা বর্তমান ১১ মেয়রের জন্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে থাকা ও দলের শীর্ষ নেতাদের সহযোগিতা না পাওয়ায় কয়েকজন বর্তমান মেয়র ধরাশায়ী হওয়ার পথে রয়েছেন। এমন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন ছাতক পৌরসভার আওয়ামী লীগের মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী। বাকি ১১টিতে যেসব বর্তমান মেয়র নির্বাচন করছেন তাদের পদ ধরে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা বর্তমান মেয়ররা হচ্ছেন, সিলেটের গোলাপগঞ্জের জাকারিয়া আহমদ পাপলু (আওয়ামী লীগ), জকিগঞ্জ পৌরসভায় আবদুল মালেক ফারুক (জাতীয় পার্টি), কানাইঘাট পৌরসভায় লুৎফুর রহমান (আওয়ামী লীগ), কুলাউড়া পৌরসভায় কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ (বিএনপি), কমলগঞ্জ পৌরসভায় আবু ইব্রাহীম জমশেদ (বিএনপি), হবিগঞ্জ পৌরসভায় কারাবন্দি সাময়িক বহিষ্কৃত মেয়র জিকে গউছ (বিএনপি), শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় ফরিদ আহমেদ অলি (বিএনপি), নবীগঞ্জ পৌরসভায় বর্তমান মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), চুনারুঘাট পৌরসভায় নাজিম উদ্দিন সামছু (বিএনপি), মাধবপুর পৌরসভায় হীরেন্দ্র দত্ত (আওয়ামী লীগ) ও সুনামগঞ্জ পৌরসভায় আয়ূব বখত জগলুল (আওয়ামী লীগ)।