দোষ ব্যক্তির, অর্জন বাহিনীর
নিউজ ডেস্ক ::
পুলিশ সদস্যরা যখন ভালো কোনো কাজ করে, তখন তা হয়ে যায় পুরো বাহিনীর অর্জন। ফলাও করে সেই অর্জনে ভাগ বসান অন্যরাও। আবার সেই পুলিশ সদস্য যখন কোনো দুর্নীতি বা অপরাধে সম্পৃক্ত হয়, তখন সেই দায় হয়ে যায় তার ব্যক্তিগত।আইনের ফাঁকগলে ছোট্ট এই যুক্তিই বরাবর দেখানো হচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা এই বাহিনীটির পক্ষ থেকে। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া এ সমস্ত অপরাধ থামছে না।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে অংশ নেওয়া একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বাহিনীর এ মনোভাব স্পষ্ট হয়।এবারের ক্রাইম কনফারেন্সে ডিসেম্বর মাসের শ্রেষ্ঠ ডিসি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার। শ্রেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) একই বিভাগের সত্যকী কবিরাজ ঝুলন।এছাড়া, ওয়ারি বিভাগের গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মিজানুর রহমান শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন। ক্রাইম কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন-ডিএমপির প্রত্যেকটি বিভাগের ডিসি, এডিসি, এসি, থানার ওসি ও ইন্সপেক্টররা।কনফারেন্স শেষে একাধিক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, “কোনো পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় সমগ্র পুলিশ বাহিনী নিতে পারে না। ব্যক্তির অপরাধ ব্যক্তিকেই পেতে হবে। অপরাধ করলে কোনো পুলিশ সদস্য ছাড় পাবেন না। কনফারেন্সে এমন কথাই বলেছেন ডিএমপি কমিশনার।”তারা আরও বলেন, “সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালককে হয়রানির দায়ে মোহাম্মদপুর থানার এক এসআইকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এরপর বিভিন্ন মিডিয়ায় ও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে পুলিশকে নিয়ে নানা ধরনের নিউজ ও প্রচারণায় বিব্রত পুলিশ।”ক্রাইম কনফারেন্সে বিট পুলিশিংকে শক্তিশালী করে পুলিশকে জনবান্ধব বাহিনীতে রূপান্তর করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। একই সঙ্গে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও বিভিন্ন মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।