‘রাত আড়াইটায় বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্তি পাই’
নিউজ ডেস্ক ::
উলফা নেতা অনুপ চেটিয়া। দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের জেলে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে মুক্ত করে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এখন সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনার মূলে রয়েছেন তিনি। বলেছেন, রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কথা উড়িয়ে দেন নি।
তবে আসামে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। দ্য ইকোনমিক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেছেন।ওই সাক্ষাতকারে তিনি বাংলাদেশ থেকে মুক্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনি কখন জানতে পারলেন বাংলাদেশের জেল থেকে আপনাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে? এর জবাবে অনুপ চেটিয়া বলেন, ১০ই নভেম্বর রাতে আমি এ কথা জানতে পারি। আমাকে মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হলো। জেল সুপারিনটেন্ডেন্ট নিজে আমার কাছে এলেন এবং আমাকে এ কথা বললেন।
আমি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে জেলে ছিলাম। সুতরাং, স্বাভাবিকভাবেই এটা আমার কাছে খুব ভাল একটি খবর ছিল। বাংলাদেশের অন্য বন্দিদের মতো নয়, কবে আমি মুক্তি পাচ্ছি তার সুনির্দিষ্ট তারিখ বলা হলো না। এর আগে মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যে, আমি মুক্তি পেতে পারি।কিন্তু সে খবর ঠিক ছিল না। পরের দিন মধ্যরাতে চূড়ান্তভাবে আমাকে মুক্তি দেয়া হলো। আসলে সেটা ছিল ১২ই নভেম্বর। ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম। তারা এসে জেল থেকে আমাকে নিয়ে যাওয়ার কথা।শেষ পর্যন্ত রাত ২টা ২০ মিনিটে আমি একজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে পারি। রাত ২টা ৩০ মিনিটে আমাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হলো। এর পর তার কাছে জানতে চাওয়া হলো- বাংলাদেশের জেলে থাকা অবস্থায় আসামে কি হচ্ছে, বা উলফায় কি হচ্ছে কিভাবে জানতে পারতেন? জবাবে অনুপ চেটিয়া বলেন, আমার সঙ্গে কাউকেই সাক্ষাত করতে দেয়া হতো না। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমি জানতে পারতাম না আসামে কি ঘটছিল।বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় আসামের কোন খবরই ছিল না। গুয়াহাটির অল ইন্ডিয়া রেডিওর মাধ্যমে শুধু আমি জানতে পারতাম আসাম ও উলফার সম্পর্কে। হ্যাঁ, আমি অনেক কিছুই জানতে পারতাম না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত আমি জানতাম না যে, আমার নিজের সাবেক সহকর্মীরা ঘাতকদের একটি টিম গঠন করেছে।ওই সাক্ষাতকারে শান্তি আলোচনা, ভারত সরকারের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।