কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য ১০ হাজার টাকা !
জামালগঞ্জ সংবাদদাতা ::
জামালগঞ্জের পল্লীতে কিশোরী ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষকের পরিবার ও একটি চক্র ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিচার সালিশের নামে ধর্ষিতার পরিবারকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে। অবশ্য বিচার সালিশকারী সাবেক ইউপি সদস্য জানান, মেয়ের জবানবন্দী নিয়ে উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে ঘটনাটি শেষ করা হয়েছে। এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ধর্ষিতার চাচাতো ভাই জানান, আমার বাড়ী জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে। গতকাল শনিবার বিকেলে আমার বোন আমার মামার বাড়ী ফেনারবাক ইউনিয়নের নাজিম নগর থেকে মটর সাইকেলে চড়ে বাড়ি আসার পথে বেহেলী ইউনিয়নের রহিমাপুরের হিজল বাগানে নিয়ে জোর করে ধর্ষন করে মোটর সাইকেল চালক দুলাল মিয়া (২৪)। ধর্ষক দুলাল মিয়া উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নের শেরমস্তপুর গ্রামে রমিজ উদ্দিন ছেলে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর আমার পরিবার থানায় আসতে চাইলে ধর্ষকের পক্ষের কয়েকজন ও এলাকার কজন বিচারক তাদের বাধা প্রদান করে ঘটনাটিকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
স্থানীয় বিচার সালিশ কারী রহমতপুরের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুছ জানান, শুক্রবার রাতে মেয়ের বাবাকে আমার বাড়িতে ডেকে এনে ছেলের বাবার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে আপোষে মিমাংসা করে দিয়েছি। জামালগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মোস্তফা কামাল জানান, এই বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি, কেউ থানায় অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।