উত্তরায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ সুমাইয়া লাইফ সাপোর্টে
নিউজ ডেস্ক :: রাজধানীর উত্তরায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ মা সুমাইয়া আকতারের (৩৫) অবস্থা সংকটাপন্ন।
এ জন্য তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। গতকাল রাত ১২টায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
সিটি হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের মেডিকেল অফিসার মুহাম্মদ সাঈদ ইমরান জানান, শনিবার বেলা ২টা থেকেই সুমাইয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হয়। বিকেল ৪টায় তার ড্রেসিং করা হয়। এরপর থেকে অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। পরে রাত ১২টায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
সুমাইয়ার অবস্থা দু-তিন দিন আগে যেমন ছিল, এখনও তেমন অপরিবর্তিত রয়েছে। তার শরীরের ৯০ ভাগই দগ্ধ। রক্তের লোহিত কণিকা (হিমোগ্লোবিন) অনেক কম। এ জন্য বৃহস্পতিবার দুই ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়।
সুমাইয়ার স্বামী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজের ভাই কামরুল আহসান জানান, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন- সুমাইয়ার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। আমাদের সে ধরনের মানসিক প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, সুমাইয়ার তিন ছেলের মধ্যে বেঁচে থাকা মেঝ ছেলে জারিফ বিন নেওয়াজের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আগুনে সামান্য পুড়ে যাওয়া জারিফের দুই পায়ে চিকিৎসা চলছে। তবে তাকে এখন বাবা ও ভাইদের খবর জানানো হয়নি।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাড়ির সপ্তম তলায় রান্নাঘরে গ্যাস লাইন বিস্ফোরিত হয়। এতে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ ও তার স্ত্রী সুমাইয়া, তিন ছেলে সারলিন (১৪), জারিফ (১১) ও জারান (১৪ মাস) দগ্ধ হয়।
আগুনে শাহনেওয়াজের শরীরের ৯৫ শতাংশ, সুমাইয়া বেগমের ৯০ শতাংশ, সারলিনের ৮৮ শতাংশ, জারিফের ৬ শতাংশ এবং জারানের ৭৪ শতাংশ পুড়ে যায়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে গেলে প্রায় ১১ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে বিকালে সারলিন এবং সন্ধ্যায় জায়ান মারা যায়। পরদিন শনিবার বাবা শাহনেওয়াজও (৫০) মারা যান।