ভোটের পরিবেশে স্বস্তিতে নির্বাচন কমিশন
নিউজ ডেস্ক :: দলীয়ভাবে প্রথমবারের মতো হচ্ছে তৃণমূলের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আর এ নির্বাচনের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদসহ চার কমিশনার। তাদের পর্যবেক্ষণে প্রথম ধাপের ভোটের ৫ ঘণ্টার পরিবেশে স্বস্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। দিন শেষে ৬০ শতাংশ ভোট পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন এক কমিশনার।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভাগওয়ারি ইউপি’র খোঁজখবর নিয়েছেন চার নির্বাচন কমিশনার। এ পর্যন্ত অন্তত ১৬টি ভোটকেন্দ্র স্থগিত হয়েছে বলে জানা গেছে। সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়েছে সাত শতাধিক ইউপিতে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ বলেছেন, ‘ভোটের আগে প্রচারণাকে কেন্দ্র করে যেমন শঙ্কার কথা বলা হয়েছে, আসলে ততটা হয়নি। প্রথম ৫ ঘণ্টা ভালো পরিবেশে ভোট হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। সবখানে ঠিকমতো ভোট চলছে। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও সবখানে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। দিন শেষে ৬০ শতাংশ ভোট পড়তে পারে।’
আবু হাফিজ জানান, ইউপি নির্বাচনে সব সময় উত্তেজনা বিরাজ করে। তৃণমূলের এ ভোটে উপস্থিতিও ভালো হয়। নারী ভোটারের উপস্থিতির বেশি রয়েছে বলে তথ্য এসেছে।
এ নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলার সময়ই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ অপর চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স করছিলেন।
এ সময় ভোট তদারকির দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী ও শাহনেওয়াজ ভোট পরিস্থিতির তথ্য বিনিময় করেন।
আবু হাফিজ জানান, সাতক্ষীরা, খুলনা, বরিশালের একাংশ ও নোয়াখালী এলাকার কিছু জায়গায় সংঘর্ষ-গোলযোগ হয়েছে। অন্য সবখানে ভালোভাবে ভোট চলছে। তিনি ঢাকা ও ময়নসিংহ বিভাগের অন্তত আট জন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। মুন্সিগঞ্জের এক ইউপির এক কেন্দ্রে গোলযোগের তথ্য পেয়েছেন। অনেক এলাকায় ইতোমধ্যে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে তথ্য পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ নির্বাচন কমিশনার ঢাকা ও ময়মনসিংহ, আবদুল মোবারক রংপুর ও রাজশাহী, জাবেদ আলী সিলেট ও চট্টগ্রাম এবং শাহনেওয়াজ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ভোট পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন।
এরই মধ্যে বিএনপি’র পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে ইউপি ভোটে ইসির ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আবু হাফিজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দল তাদের মতামত দিতে পারে, আমরা এ নিয়ে মন্তব্য করব না। যেসব অভিযোগ পাচ্ছি, ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
অনিয়ম রোধে নিজেদের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘শেষ ব্যালট পর্যন্ত অনিয়ম প্রতিহত করার নির্দেশনা রয়েছে। ইতোমধ্যে আইনশৃংখলা বাহিনী নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। অনিয়ম-সংঘর্ষ হলে আজকের ভোটের ৭১৭ ইউপির মধ্যে অর্ধেক বন্ধ হলেও অসুবিধা নেই। কেউ কেন্দ্র দখল, অনিয়মের চেষ্টা করলেই বন্ধ করে দেয়ার জন্যে বলা হয়েছে। আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘ভোটের আগেই সহিংতার খবর এসেছে। আজ এখনো পর্যন্ত কোথাও বড় ধরনের সহিংসতার তথ্য পাইনি। দেখা যাক, বিকালে কী হয়। একটু উত্তেজনা থাকলেও তেমন খারাপ পরিস্থিতি হবে না আশা করি। তখন বলতে পারব সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির কথা।’