রানা প্লাজা ধসে পা হারিয়েছেন সোনিয়া
নিউজ ডেস্ক :: অষ্টম শ্রেনী পাশ সোনিয়া বিয়ের দুই বছর বেকার জীবন কাটানোর পর কাজ নিয়েছিলেন রানা প্লাজার এক কারখানায়। কাজে যোগ দেয়ার ২২ দিনের মাথায় সুখ নয় ভেঙ্গে পড়ে ‘অভিশপ্ত’ সেই ভবন।
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার দক্ষিণ দামোদরপুর গ্রামের সায়েব মন্ডলের কন্যা সোনিয়া বেগম (২২)।রানা প্লাজা ধসে পা হারিয়েছেন তবে সেদিন বাইরে থাকায় বেঁচে যান তার স্বামী মিজানুর।
সোনিয়া বেগম বলেন, ধসের তিন দিন পর উদ্ধারকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। এনাম হাসপাতালে ডান পা কোমরের নিচ থেকে কেটে ফেলা হয়। সোনিয়া ১০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা পেয়েছেন। সেখান থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার করে টাকা পান। ওই টাকায় এখনো চিকিৎসা ও সংসার চালাতে হয়।
সোনিয়ার স্বামী মিজানুর রহমান বলেন, বাড়িতে ছোট আকারের মনিহারি দোকান দিয়েছি। দুজনেই ব্যবসা দেখাশোনা করছি। সাত মাসের শিশু মিম্মি ও মা-বাবাকে নিয়ে কোনো রকমে সংসার চলছে। সরকার চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো পাইনি।
সাদুল্যাপুর উপজেলার কিশামত হলদিয়া গ্রামের স্মৃতি রানী রানা প্লাজা ধসে নিহত হন। তাঁর মা সন্ধ্যা রানী বলেন, স্মৃতির চাকরির টাকায় সংসার চলত। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পাই। সে সময় বলা হয়েছিল, নিহত পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু চাকরি দূরের কথা, কেউ খোঁজও নেয়নি।