জেল থেকে বেরিয়েই আবার ছিনতাই : অত:পর …
নিউজ ডেস্ক :: ছিনতাইয়ের মামলায় জেল খেটে মাসখানেক আগে বের হয়েছিল আব্দুল খালেক (৩০)। বেরিয়েই সহযোগিদের নিয়ে আবারও নেমে পড়ল পুরোদস্তুর ছিনতাইয়ে। তবে বেশিদিন পুলিশকে ফাঁকি দিতে পারলনা। তিন সহযোগিসহ খালেককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ।
আব্দুল খালেকসহ গ্রেফতার হওয়া চারজন মলম পার্টি নামধারী একটি ছিনতাইকারী দলের সদস্য। শনিবার রাত থেকে রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আব্দুল খালেকের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সুধারামপুর থানায়। সিএনজি অটোরিকশা চালানোর আড়ালে খালেক মলম পার্টির সদস্য হিসেবে ছিনতাইয়ে অংশ নেয় বলে জানিয়েছেন বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন।
গ্রেফতার হওয়া আরও তিনজন হল, কুমিল্লার দাউদকান্দির আমির হোসেন (৪৫), মো.হাসান (২৬) এবং মো.ইব্রাহিম (৩৬)।
ওসি জানান, গত ৬ এপ্রিল রাতে মুরাদপুরের মক্কা হোটেলের সামনে থেকে লোকাল সিএনজি অটোরিকশায় করে হাটহাজারী যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি। অটোরিকশায় আগে থেকেই আরও তিনজন বসা ছিল। চালকের আসনে ছিল খালেক।
অটোরিকশাটি আমিন জুট মিলের সামনে যাবার পর মোহাম্মদ হোসেনের চোখে মলম লাগিয়ে দিয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায় তারা। মোহাম্মদ হোসেন পরদিন বায়েজিদ বোস্তামি থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযানে নামে পুলিশ।
‘ছিনতাইয়ের ঘটনাটির মাত্র সপ্তাহখানেক আগে জেল থেকে বের হয়েছিল খালেক। জেল থেকে বেরিয়েই আবারও ছিনতাই শুরু করে। তাদের চক্রে সন্দ্বীপের আরও ১১ জন আছে বলে জানিয়েছে। আমরা তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি। ’ বলেন ওসি।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম শহরে ছিনতাই করছে। সাধারণত বাস, হিউম্যান হলার কিংবা অন্যান্য গণপরিবহনে উঠে সাধারণ যাত্রীর চোখে মলম লাগিয়ে ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
ওসি জানান, গ্রেফতারের পর আব্দুল খালেক স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমাণ্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।