আব্বুকে কারা খুন করেছে কেউ কি দেখেনি?
নিউজ ডেস্ক : ‘আমার আব্বুকে প্রকাশ্যে খুন করা হলো। অথচ কেউ কি দেখেনি, কারা খুন করলো? তাহলে আমি কি আমার আব্বু হত্যার বিচার পাবো না?’ বলতে বলতে ডুকরে কেঁদে উঠলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর বড় মেয়ে রিজওয়ানা হাসিন শতভি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন শতভি। বাবা ছিলেন ওই বিভাগেরই অধ্যাপক। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ যে হারিয়েছেন শতভি তা আর বুঝতে বাকি নেই তার। যা কোটি টাকার বিনিময়েও পাওয়া যাবে না।
তিনি বলছিলেন, ‘রাজশাহী একটি ব্যস্ততম নগরী। গরমের দিনে এ নগরীতে সকাল সাড়ে ৭টায় অনেকেই বাইরে থাকেন। শালাবাগন এলাকায় আরো বেশি মানুষ থাকে। রাস্তা দিয়ে সেকেন্ডে কয়েকটি করে গাড়ি যাওয়া আসা করে। এভাবে প্রকাশ্যে একটা মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করা হলো, অথচ কেউ দেখলো না, এটা বিশ্বাস করা যায় না?’ কথা বলতে বলতে এক সাগর অশ্রু এসে জড়ো হলো সতভির চোখের কোনে। তা কিছুতেই আটকে রাখতে পারলেন না।
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ কি দেখেনি? নাকি দেখার পরও ভয়ে মুখ খুলছে না। কিসের ভয়ে মুখ খুলছে না? কোন কালো শক্তির ভয়ে? সেই কালো শক্তিকে খুঁজে বের করা হোক।’
সাংবাদিকদের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এ ধরনের ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়। আপনারা এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত হারিয়ে যেতে দিবেন না! জোরালোভাবে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।’
স্যার ব্লগে লেখালেখি করতেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার আব্বু ফেসবুকটাও ব্যবহার করতেন না। অনেকদিন আগে তার কোনো এক শিক্ষার্থী অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছিল। তিনি কোনোদিন ঢুকতেন না। প্রযুক্তিগত তেমন কোনো জ্ঞান তার ছিলনা। সেখানে ব্লগে লেখালেখির কোনো প্রশ্নই আসে না। এটা সম্পূর্ণ গুজব।’