‘পাকিস্তানের চোখ রাঙানিকে বাংলাদেশ ভয় পায় না’
নিউজ ডেস্ক :: বিএনপি মুখে ইসলামের কথা বললেও তা মেকি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সম্প্রতি বিএনপির এক নেতার মোসাদ এজেন্টের সঙ্গে বৈঠকের খবর নিয়ে আলোচনার মধ্যে তিনি বলেছেন, “এরা ইসলাম ইসলাম করে একেবারে গদ গদ। কিন্তু ষড়যন্ত্র করছে ইসলামের বিরুদ্ধে, ইসরায়েল-মোসাদকে সঙ্গে নিয়ে।”
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় শেখ সেলিম এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৭ মে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বেলা তিনটার আলোচনা সভা সফল করতে এই যৌথ সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বেশি নাক গলালে দরকার হলে পাকিস্তানের সঙ্গে সব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য। তিনি বলেন, পাকিস্তানের চোখ রাঙানিতে বাংলাদেশ ভয় পায় না। দরকার হলে জাতিসংঘের সহায়তা নিয়ে পাকিস্তানি ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সেনা সদস্যের বিচার করা হবে।
পাকিস্তানের উদ্দেশে শেখ সেলিম বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর কোনো অধিকার আপনাদের নেই। পাকিস্তান বাড়াবাড়ি করছে। আপনাদের মাথার বোঝা এখনো নামেনি। এখানে মানবতাবিরোধীদের বিচার হয়েছে। শিমলা চুক্তি করে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সেনা সদস্যের বিচার হওয়ার কথা ছিল, আপনারা করেন নাই। দরকার হলে জাতিসংঘের সহায়তা নিয়ে সেই ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সেনা সদস্যের বিচার করব।’
পাকিস্তান সরকারের উদ্দেশে সাবেক মন্ত্রী সেলিম বলেন, ‘তোমাদের সঙ্গে আমাদের এমন কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য নাই, মহব্বতও নাই। ওইখানে আমাদের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবা? দরকার হলে তোমাদের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক আমরা রাখব না।’
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এম আসলাম চৌধুরীর বৈঠকের কথা উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘বিএনপি মুখে ইসলামের কথা বলে। আর ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে হাত মেলায়। বঙ্গবন্ধু এই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেননি। মুসলমানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। আর ওনারা ক্ষমতা যাওয়ার জন্য তাদের ধরছে। চিন্তা করেন আসলাম বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। এই ইহুদি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই সরকারকে উৎখাত করবে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এসে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে—এই হলো তাদের ষড়যন্ত্র।’ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক শেখ হাসিনাসহ একটা কর্মী বেঁচে থাকতে ইহুদিরা বাংলাদেশে সুযোগ পাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
যৌথ সভায় পাকিস্তানের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে ১৯৭১ সালেই। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আপনাদের নাক গলানো কিংবা হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আপনাদের এই ধৃষ্টতা দেখাবেন না। আপনাদের এই জংলি মনোভাব বাংলাদেশের মানুষ বরদাশত করবে না।’