মৌলভীবাজারে এক বাসায় তিন যুবতীর আত্মহত্যার চেষ্টা
নিউজ ডেস্ক:: মৌলভীবাজার শহরের একটি বাসায় মালিকের অনুপস্থিতিতে ৬ জন গৃহকর্মীর মধ্যে ৩ জন ড্রাইসেল ব্যাটারির রাসায়নিক পদার্থ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। বিষয়টি টের পেয়ে অন্য গৃহকর্মীরা চিৎকার শুরু করে। পাশের বাসার লোকজন এগিয়ে গিয়ে বিকল্প চাবি দিয়ে বাসার মূল দরজা খুলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। অপর তিন গৃহকর্মীকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ মে) সকালে মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনীতে অবস্থিত শাহ মোস্তফা গার্ডেন সিটির ৮ম তলায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকার বাসিন্দা ও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, এই অ্যাপার্টমেন্টে ভাড়া থাকেন পাসপোর্ট অফিসের (বর্তমানে টাঙ্গাইল) সহকারী পরিচালকের স্ত্রী ইভা, ছোট দুই শিশু সন্তান ও এক ভাগ্নে। তাদের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন ৬ জন গৃহকর্মী। এর মধ্যে ৫ জন নারী ও একজন ছেলে শিশু। শুক্রবার সকালে হাবিবুর রহমানের স্ত্রী (গৃহকর্মীর ভাষায় ইভা আন্টি) দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় চলে যান। গৃহকর্মীদের ভিতরে রেখে বাসার প্রধান দরজা তালাবদ্ধ করে রেখে যান।
গৃহকর্মী সাহেনা (২০) ও শাহানা (২৮) জানায়, সকাল সাড়ে আটটার দিকে বাচ্চাদের খেলনা পরিস্কারের জন্য নিয়োজিত গৃহকর্মী রুবি (১৫), মালা (১৮) ও আমিনা (১৫) নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে একপর্যায় খেলনা গাড়ির ব্যাটারি ভেঙ্গে পানি মিশিয়ে খেয়ে ফেলে।তিনজনের মুখ দিয়ে ফেনা ও রক্ত বের হতে দেখে তারা চিৎকার দেয়। পরে পাশের বাসার লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কেয়ার টেকারের কাছ থেকে বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খুলে তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায়। শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালে কথা হয় তিন গৃহকর্মীর সাথে। তারা জানায়, ঝগড়া করে প্রথম রুবি ব্যাটারি ভেঙ্গে পানি খায়, পরে বাকি দু’জন খায়। আর কিছু তারা বলতে পারে না। গৃহকর্তা হাবিবুর রহমানের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, এখন তিনজন হাসপাতালে সুস্থ আছে। বাকি তিন গৃহকর্মীকে থানায় নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। গৃহকর্তা আসার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।