সুন্দরবনের মাস্টার বাহিনীর আত্মসমর্পণ
নিউজ ডেস্ক :: সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ দস্যুবাহিনী ‘মাস্টার বাহিনীর প্রধানসহ নয় সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন।
মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেল ৩টায় বাগেরহাটের মংলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অস্ত্র সমর্পণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন তারা।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে দুপুরে হেলিকপ্টারে করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মংলায় আসেন।
এর আগে রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে পরে তা স্থগিত করা হয়। ওইদিন ভোরে আত্মসমর্পণের লক্ষ্যে সুন্দরবনের চরাপুটিয়ার ভারানী খালে এসে র্যাব-৮ (বরিশাল) এর কাছে দেশি-বিদেশি মোট ৫২টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রায় পাঁচ হাজার গুলি জমা দেন মাস্টার বাহিনীর সাত সদস্য। এরপর থেকে তারা র্যাব-৮ এর হেফাজতে ছিলেন।
এদিকে, আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান শুরুর আগে র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, এর মাধ্যমে সুন্দরবনের অন্যান্য দস্যু বাহিনীও অস্ত্র ত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে উদ্বুদ্ধ হবেন।
তিনি বলেন, আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হবে। তবে তাদের সাজা কমিয়ে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার ব্যাপারে বিশেষভাবে সহায়তা করা হবে।
র্যাবের কাছে অস্ত্র-গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণকারী ১০ জনের মধ্যে সাতজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- বাহিনীর প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে মজিদ ওরফে কাদের মাস্টার (৪৭), সেকেন্ড ইন কমান্ড সোহাগ আকন (৩৭), ফজলু শেখ (৩৫), সোলায়মান শেখ (২৮), মো. শাহিন শেখ (২৮), সুমন সরকার (৩৪) ও মো. সুলতান খান (৫৮)।
তাদের বাড়ি বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও খুলনার বিভিন্ন এলাকায়। তারা সবাই দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।