‘লন্ডনে বসে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন তারেক’
নিউজ ডেস্ক :: ‘লন্ডনে এক কুলাঙ্গার বসে আছে’। তাকে আদর দিয়ে ব্রিটিশ সরকার বসিয়ে রেখেছে। ব্রিটিশ সরকার কেন তাকে আশ্রয় দিয়েছে জানি না। সে ওখানে যাওয়ার পর টিউলিপ হুমকি পাচ্ছে। ব্রিটিশ সরকারের দায়িত্ব এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। এসময় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, জয়ের বিরুদ্ধে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইকে কিনে ফেলার চেষ্টা হয়। উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকে একেবারে খতম করে দেওয়া। সে ষড়যন্ত্র হয়েছিল।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতা ভোগ করার পর কিছু দায়িত্বও থাকে’। সবার কাছ থেকে সেই দায়িত্বশীলতা আশা করি।
প্রধানমন্ত্রী তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে জড়িয়ে বিবিসির একটি প্রতিবেদনের সমালোচনা করে বলেন, ‘বিবিসিও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দিল, যার কোনো ভিত্তি ছিল না’। বিবিসির মতো একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছ থেকে এটা কাম্য ছিল না। সেটাও ঘটেছে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে সাংবাদিক নেতারা নানা দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। এর মধ্যে সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন, আবাসন–সমস্যা সমাধান ও প্রেসক্লাবের ভবন নির্মাণের দাবি রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ওয়েজ বোর্ডের জন্য মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তথ্যমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। আবাসন–সমস্যা সমাধানে জায়গা খোঁজার পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি টেলিভিশন চালু করার সাহস কেউ পায়নি। তিনি সেটা করেছেন। এখন টক শো করেও অনেকের ভালো কামাই হচ্ছে। তবে টক শো সংসদের বিকল্প হতে পারে না। জাতীয় সংসদে কথা বলা হয় কতগুলো নিয়ম-নীতি ও বিধিবিধানের মধ্যে থেকে। আর টক শোতে বক্তব্য হয় লাগামছাড়া।
সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যায় কারা জড়িত তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। ‘মাদারীপুরে প্রভাষক রিপনকে হত্যার জন্য যে চেষ্টা করলো, আপনারা নিজেরাই দেখেছেন, সে একজন শিবিরের কর্মী’। কাজেই এই গুপ্তহত্যাগুলি যে সুপরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে, আমার মনে হয় এই ঘটনার পর কারো কোনো সন্দেহ থাকা উচিৎ নয়।
এসময় গুপ্তহত্যা বন্ধ এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।