‘বিচার ছাড়া কাউকে গুলি করে মেরে ফেলা যায় না’
নিউজ ডেস্ক :: ‘গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিচার করা হবে। ভবিষ্যতে দেশে গণতন্ত্র ফিরে এলে আমরা অবশ্যই গুম হওয়া নেতাকর্মীদের খোঁজ করবো। র্যাব এবং পুলিশের যারা এই গুম-খুনের মতো অন্যায় কাজগুলো করেছে তাদের ক্ষমা করা হবে না। তাদের বিচার একদিন না একদিন হবেই বলে জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।
গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লংবীচে এক ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির বিগত আন্দোলনে গুম-খুনের শিকার দলের নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ওই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পরে ওইসব পারিবারের সদস্যদের হাতে ঈদ উপহার ও আর্থিক সহয়তা তুলে দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহমিনা রুশদী লুনাসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে ৪০টি পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল, বিএনপির যারা গত কয়েক বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছে, তারা কিভাবে আছেন, কেমন আছেন তা আমরা কিছুই জানি না।’
নিখোঁজদের পরিবারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা যে আশা করছেন, স্বজনরা একদিন ফিরে আসবে, আমরাও সেই আশায় আছি। তারা ফিরে এসে আপনাদের যেমন আদর করবে ঠিক তেমনিভাবে আমাদের দলে ফিরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মিলে আমাদের আপন হয়ে থাকবে। নিখোঁজ নেতা-কর্মীরা যেখানেই আছে আল্লাহ যেন তাদের ভালো রাখেন।’
ক্রসফায়ারের ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘একটি নিরীহ ছেলেকে কথা নেই বার্তা নেই গুলি করে মেরে ফেলা হলো। এটা খুবই দুঃখজনক। বিচার ছাড়া কাউকে গুলি করে মেরে ফেলা যায় না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নানা হয়রানী-নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এই সরকারের প্রধান উদ্দেশ্যে হলো বিএনপিকে ধ্বংস করা।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, দলের সিনিয়র নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে