কাবুল হামলা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০
নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের এক বিদেশি ঠিকাদারদের আবাসস্থলে ট্রাকবোমা হামলায় কমপক্ষে ২০জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরো ২৯ জন। কাবুলের কতৃপক্ষ্য এ খবর নিশ্চিত করেছে।
সোমবার স্থানীয় সময় রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর শেষপ্রান্তে অবস্থিত পুলে ই-চরখি এলাকার ‘নর্থগেট’ হোটেলে তালেবানদের সর্বশেষ হামলার ঘটনাটি ঘটে বলে বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে।
তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতের মধ্যে বেশিরভাগই পুশিল বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তবে অনেক স্থানীয় কিছু গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিহতরা সাধারণ নাগরিক।
ওই হোটেলটিতে সাধারণত বিদেশি অতিথিরা অবস্থান করে থাকেন। হামলার সময় সেখানে বিদেশি ঠিকাদাররা অবস্থান করছিলেন। ওই হামলার দেড় ঘণ্টা পর এর দায় স্বীকার করেছে এক তালেবান মুখপাত্র। তবে হামলা সম্পর্কে এখনও কাবুলের সরকারি কর্মকর্তাদের কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
একজন প্রতক্ষ্যদর্শী জানান, আমি দেখেছি ৩টি মরদেহ মাটিতে পড়ে আছে। এছাড়া অনেকে আহত হয়েছে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হামলা সম্পর্কে বিবিসি জানায়, সোমাবার রাতে নর্থগেট হোটেল কম্পাউন্ডে প্রথমে ট্রাকবোমা হামলা চালানো হয়। এরপর কয়েকজন তালেবান জঙ্গি এর অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। হামলাকারীদের প্রতিহত করতে গুলি চালায় পুলিশ। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক পুলিশ ও এক জঙ্গি নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো এক পুলিশ।
সোমবারের বিস্ফোরণের পর কাবুলের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এই হামলার মাত্র এক সপ্তাহ আগেই কাবুলে এক বিক্ষোভ সমাবেশে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৮০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছিল আরো ২৩০ জন। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
এটুকু জানা গিয়েছে মৃত্য ব্যক্তি আগে একটি বিয়ে করেছিলেন সেই পরিবারে তার সন্তানও রয়েছে। কিন্তু তার এ বিয়ের কথা স্ত্রী সন্তানদের কেউই জানতো না। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তার এক ভাই এবং এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। কিন্তু বিয়ের এক মাস পর নতুন স্ত্রীর বাসাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সেই সৌদি ব্যবসায়ী।
মৃত ব্যক্তির আগের স্ত্রী এবং সন্তানেরা তার দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে নববধূকে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করে। আর তখনি এই ২২ বছরের তরুণী আইনের আশ্রয় নেন। ব্যবসায়ীর ভাই ও বন্ধুর সাক্ষীর উপর ভিত্তি করে আদালত তাকে তার ন্যায্য অধিকার দেয়ার নির্দেশ দেয়।
এতে করে ওই নারী বিয়ের এক মাসের মাথায় ৬৭ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল (যা বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ১৪ কোটি) এবং একটি বাড়ির মালিকানা পেয়ে যান।