প্রয়াত সংস্কৃতি সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস
নিউজ ডেস্ক : সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, সাবেক সচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস ছিলেন সত্যিকার অর্থে ভাল মানুষ। তিনি আপাদমস্তক একজন বাঙালি ছিলেন।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সিনিয়র সচিব প্রয়াত ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাসের আলোচনাসভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শিল্পসংস্কৃতির প্রতি রণজিৎ কুমারের ভালবাসা নানাভাবে প্রকাশ পেত। তিনি অসাধারণ মানবতাবাদী মানুষ ছিলেন। মানুষের সুখ-দুঃখ তাকে স্পর্শ করতো।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বানানে রণজিৎ বিশ্বাস ছিলেন মহাপারদর্শী। আমি কখনও বানান ভুল করলে তিনি ঠিক করে দিতেন। যে নথিপত্র তিনি পাঠাতেন তাতে কোনো ভুল পাওয়া যেত না।’
রণজিৎ বিশ্বাসকে অকালে হারিয়েছি উল্লেখ করে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, ‘তার অনেক বই বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা প্রকাশ করেছে। অপ্রকাশিত লেখা আছে অনেক। সেই লেখাগুলো প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। তার সহধর্মিণীর সহযোগিতা পেলে আমরা এ ব্যাপারে একটি কমিটি করব।’
রণজিৎ বিশ্বাসের সহধর্মিণী শেলী সেনগুপ্তা প্রয়াত স্বামী প্রসঙ্গে বলেন, ‘মাত্র ১৬ বছর বয়সে এ লোকটা আমার হাত ধরেছিল। তখন কিন্তু বলেনি এত সকালে চলে যাবে। তিনি এমন একজন সাধক মানুষ যিনি আমাকে বাউল জীবন দিয়ে গেছেন। যে জীবনে আমি মুক্ত পাখির মতো উড়ে বেড়াতে পারব।’
শেলী সেনগুপ্তা আরও বলেন, ‘একটি ফ্ল্যাট আর একটি গাড়ি রেখে গেছেন রণজিৎ বিশ্বাস। তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ, কারণ তিনি কোনো ঋণের বোঝা কিংবা সম্পদের বোঝা রেখে যাননি। তার পেনসনের টাকায় জীবনটা ভালভাবে কেটে যাবে।’
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘প্রতিটি মুহূর্তকে একটি শিল্পিত রূপ দিতে পারতেন রণজিৎ বিশ্বাস। কী অসাধারণ ক্ষমতা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন তিনি। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তিনি ধুমকেতুর মতো এসে ধুমকেতুর মতোই চলে গেলেন।’
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিমন্ত্রী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতারী মমতাজ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব এইচ এম আবদুল্লাহ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এ কে এম শামীম চৌধুরী, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া প্রমুখ।