ফ্রান্স আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির জনকের শাহাদাত বার্ষিকী পালিত
মোঃ আবুল কালাম মামুন:: ফ্রান্স আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। প্যারিসের বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা গার দু নরের টিটু মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও নৈশ ভোজের আয়োজন করে ফ্রান্স আওয়ামী লীগ। ফ্রান্স আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানটি স্থানীয় সময় বিকাল ছয়টায় শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও পনেরোই আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া করা হয়। এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে তিল ধারনের স্থান ছিলো না।
দোয়ার পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ কাশেম। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো : আবুল কাশেম। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কামরুল ইসলাম বকুল, এম শাহেদ আলী, সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মুজিুবুর রহমান, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জাকির হোসেন ভুইয়া, জাতীয় শ্রমিক লীগের সর্ব ইউরোপীয়ান সমন্বয়ক মিজান চৌধুরী মিন্টু, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সোহরাব মৃধা, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সৈয়দ ফয়সল ইকবাল, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য মোস্তাফা হাসান, রানা চৌধুরী, জাতীয় শ্রমিক লীগের (ফ্রান্স) সভাপতি জি এইচ সাগর খান, জাতীয় শ্রমিক লীগ ফ্রান্স শাখার সাধারন সম্পাদক আমিন খান হাজারী, সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধুমাত্র বাংলাদেশের স্থপতিই ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন সার্বজনীন ব্যক্তিত্ব। পাহাড় সমান উচ্চতার এ ব্যক্তিকে কোন কৌশলেই পকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী দমাতে পারেন নি। দেশ স্বাধীন হয়ে যাবার পরও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র সক্রিয় থাকায় দেশী বিদেশী চক্রান্ত হয় বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে। এ কারনেই ৭৫ সালের আগস্ট মাসের বিয়োগান্তক ঘটনার সুত্রপাত।
জাতি কখনো এসব চক্রান্তকারীতে ক্ষমা করবে না উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা ও জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর স্বাধীনতা বিরোধীদের জারি করা ইনডেমনিটি বিল বাতিল করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর আত্মস্বীকৃত খুনীদের ফাসি কার্যকর করা হয়।
আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনীদের ও ধরে এনে রায় কার্যকরে সরকার বদ্ধ পরিকর উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ফ্যান্স আওয়ামী লীগ অতীতের মতো সব সময় অগ্রনী ভুমিকা পালন করবে। হাইব্রীড ও নর্ব আওয়ামী লীগাররা দলের মাঝে বিভক্তি আনতে সর্বদা সচেষ্ট জানিয়ে বক্তারা বলেন, এরা খোন্দকার মোশতাকের প্রেতাত্মা। এদের যে কোন মুল্যে প্রতিহত করতে হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলার ইতিহাস বিকৃত করেছিলো যারা জাতি আজ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এসব মীরজাফরদের আর সুযোগ দেয়া যাবে না। জাতির জনকের সুযোগ্যা কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গৌরবের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে।এ ধারা অব্যাহত রাখা জন্য সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান বক্তারা।
ভবিষ্যতে দেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত প্রতিরোধ করার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান বক্তারা।
আলোচনা সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পনোরোই আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। আলোচনা সভার শেষে অংশগ্রহনকারীদের নৈশ ভোজ করানো হয়।