বিদ্যালয়ের জায়গা নিয়ে উত্তাল হচ্ছে মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার সংবাদদাতা :: মৌলভীবাজারের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তাল হচ্ছে মৌলভীবাজার।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধি শাখা ২২ (উন্নয়ন-৩) থেকে উপ-সচিব মো. জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সংশ্লিষ্ট সব দফতরে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় নির্মাণের জন্য মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরাতন ছাত্র হোস্টেলের পূর্ব পার্শের ০.২০ (শুন্য দশমিক দুই শুন্য) একর জমি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু অনেক সরকারি খাস জমি থাকতে জেলার স্বনামধন্য মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গায় কেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় নির্মাণ করতে হবে? এমন প্রশ্নের ভিত্তিতে স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র, শিক্ষক এবং অভিভাবক মহলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্কুলের সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
স্কুলের সাবেক ছাত্র মুজাহিদ উদ্দিন বলেন, সরকারি স্কুল আমাদের প্রাণের স্কুল। এই স্কুলের মাঠ ও জায়গা ছিনিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। আমরা তা হতে দেবো না।
প্রাক্তন আরেক ছাত্র ইয়াসিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্কুলের জায়গা রক্ষার্থে প্রয়োজনে রক্ত দেবো। তবু জায়গাটি স্কুলের হাতছাড়া করা যাবে না।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুর রহমান বলেন, গত ২৮ শে এপ্রিল ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকে বিবিধ প্রসঙ্গে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর পক্ষ থেকে যখন এই জমিটি চাওয়া হয়, তখন আমরা স্কুলের পক্ষ থেকে সম্মতি দেইনি। তবুও তারা আমাদের সঙ্গে সমন্বয় না করেই স্কুলের এই জায়গাটিতে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় নির্মাণ করতে চাচ্ছে।
রাজু আহমদ সাজন নামে এক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ অতীতের অনেক প্রধানমন্ত্রীর বিশাল বিশাল জনসভা হয়েছে। বড় কোনো সভা, সমাবেশ ও জানাজার জন্য স্কুলের এই মাঠ ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া প্রতিদিন এখানে সবাই খেলাধুলা করে। এই মাঠকে স্কুলের কাছে রেখেই অন্য কোথাও নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় নির্মাণ করা হোক।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।