শুল্ক-কর নিয়ে বিভ্রান্তি; যে পরিমাণ স্বর্ণ দেশে আনা যাবে
নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি কিছু অনলাইন পোর্টাল ও ফেইসবুক পেইজে বিভ্রান্তিমূলকভাবে ছড়ানো হচ্ছে যে, নতুন ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী “২৩৪ গ্রাম স্বর্ণবার সকল প্রকার শুল্ক ও কর ছাড়াই আনা যাবে।” মূলতঃ এটি হবে, “২৩৪ গ্রাম স্বর্ণবার সকল প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ সাপেক্ষে আনা যাবে।”
এ ধরণের ভুল তথ্যের কারণে অনেক যাত্রি বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন। স্বর্ণ সংক্রান্ত বিস্তারিত….
ক) স্বর্ণালংকারঃ শুল্ক-কর ব্যতীত সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম আনা যাবে। তবে এক প্রকারের অলংকার ১২টির বেশি হতে পারবে না। ১০০ গ্রামের অতিরিক্ত গ্রাম প্রতি ১৫০০/- টাকা হারে শুল্ক-কর পরিশোধ সাপেক্ষে আনা যাবে।
ব্যাখ্যাঃ ১০০ গ্রামের অতিরিক্ত পরিমাণ অলংকার সঙ্গে থাকলে বিমানে সরবরাহকৃত “ব্যাগেজ ঘোষণা ফরম” এর সংশ্লিষ্ট কলামে অবশ্যই “হা”-তে টিক দিতে হবে। কোনোভাবে এই ঘোষণায় ব্যর্থ হলে কাস্টম চেকিং এর সময় নিজ থেকে তা কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিকভাবে ঘোষণা করতে হবে। ঘোষণা না করলে গোপন করার দায়ে কিংবা ঘোষণা দিয়ে বাণিজ্যিক পরিমাণ অলংকার আনলে সম্পূর্ণ স্বর্ণালংকারই জব্দ করে আপনাকে ডিএম (ডিটেনশন মেমো) দেয়া হবে। এই ডিএম নিয়ে ২১ দিনের মধ্যে কাস্টম হাউজে নির্ধারিত ট্রাইবুনালে যেতে হবে এবং শুনানি শেষে ট্রাইবুনাল কর্তৃক নির্ধারিত শুল্ক-কর/জরিমানা দিয়ে তা ছাড়িয়ে আনতে হবে। বেশি পরিমাণ হলে স্মাগলিং মামলা হবে।
খ) স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিন্ডঃ শুল্ক-কর পরিশোধ সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ২৩৪ গ্রাম আনা যাবে। প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রামে (এক ভরি) ৩০০০/- টাকা শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে।
ব্যাখ্যাঃ অবশ্যই ঘোষণা করতে হবে। গোপন করলে কিংবা বার/পিন্ডের মোট পরিমাণ ২৩৪ গ্রামের উপরে হলে উপরে বর্ণিত ডিএম নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তবে এই ক্ষেত্রে সাধারণত ২৩৪ গ্রাম পর্যন্ত ডিএম নিয়মের সুযোগ দেয়া হয়। এর অতিরিক্ত হলে স্মাগলিং এর দায়ে মামলা হতে পারে।
#স্বর্ণালংকার এবং #স্বর্ণবারের হিসেব সম্পূর্ণ আলাদা। যেমন…আপনি ইচ্ছে করলে ১০০ গ্রাম শুল্কমুক্ত অলংকার এবং ২৩৪ গ্রাম শুল্কযুক্ত বার/পিন্ডসহ মোট ৩৩৪ গ্রাম স্বর্ণ আনতে পারেন।