বিআরটিসির ৬০০ বাস যোগ হচ্ছে গণপরিবহনে
নিউজ ডেস্ক: দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি ও দূরপাল্লার সেবা উন্নয়নে ৬০০ বাস কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। একই সঙ্গে পণ্য পরিবহন সক্ষমতা বাড়াতে ৫০০ ট্রাকও কিনবে সংস্থাটি।
এগুলো কেনায় ব্যয় ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৫৮০ কোটি ৮৭ লাখ ও ২১৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এজন্য দুটি পৃথক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় প্রকল্প দুটিসহ মোট ৫টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারস ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্পগুলো সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় মোট ৫টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে ১ হাজার ৯৩২ কোটি ২৮ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য থেকে ৮৭২ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
তিনি বলেন, প্রকল্পটির আওতায় ৩০০ ডাবল ডেকার বাস, ১০০ সিঙ্গেল ডেকার এসি সিটি বাস, ১০০ সিঙ্গেল ডেকার এসি ইন্টারসিটি বাস এবং ১০০ সিঙ্গেল ডেকার ননএসি বাস কেনা হবে। এসব বাস সারাদেশে চলাচল করবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরীতে উন্নত ও সমন্বিত পরিবহন নেটওয়ার্ক সিস্টেমের জন্য গণপরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এর প্রেক্ষিতে বিআরটিসি বিভিন্ন সময়ে ঢাকা নগরীতি গণপরিবহন বৃদ্ধি উদ্যোগ নিয়েছে। দিন দিন বিআরটিসির বাসের চাহিদা বৃদ্দি পাচ্ছে কিন্তু বাস স্বল্পতার কারে যাত্রীদের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। তাই ৬০০ বাস কেনার জন্য ’বিআরটিসির জন্য দ্বিতল, একতলা এসি ও নন এসি বাস সংগ্রহ’ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫৮০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় ক্রেডিট লাইন ৪৩৪ কোটি ৩২ লাখ ঋণ সহায়তা দিবে।
এদিকে বিআরটিসির যেসব বাস ও ট্রাক নষ্ট হয়ে গেছে, সেগুলো দ্রুত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ৫০০ ট্রাক কেনা জন্য ‘বিআরটির জন্য ট্রাক সংগ্রহ প্রকল্প’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় ক্রেডিট লাইন ১৫৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ সহায়তা দিবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল-ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম প্রমুখ।