ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নিউজ ডেস্ক::আগামি ১৩ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পশু কেনা-বেচা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে মাঠে থাকছে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
অন্যদিকে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, অজ্ঞানপার্টি এবং টিকেট কালোবাজারীদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
জানা যায়, নাশকতা এবং যে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে জাতীয় ঈদগাঁহ, বায়তুল মোকাররম ও রাজধানীর অন্যান্য ঈদগাঁহে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। সড়ক, শপিংমল এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নজরদারি থাকবে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা শহরের প্রতি মহল্লায় ঈদের জামাত হয়ে থাকে, সেখানে আমাদের ভলান্টিয়াররা থাকবেন। গোয়েন্দারা আমাদের যে তথ্য দিচ্ছে বা দিবে তার ওপর ভিত্তি করে প্রত্যেকটি ঈদগাঁহেই আমরা পূর্ব সতর্কতা ব্যবস্থা নেব। যেমনটা আমরা শোলাকিয়ায় করেছিলাম। যেখানে আমাদের প্রয়োজন হবে সেখানে আর্চওয়ে ও অন্যান্য চেকিংয়ের ব্যবস্থা আমরা করব।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। ঢাকা শহরে কোরবানির পশুর হাট বসবে ২৩টি। এসব হাটের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হাটের কারণে যেন জানজট সৃষ্টি না হয় সেদিকেও নজর রাখা হবে। ঈদের ছুটিতে রাজধানীর নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যাক সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
এদিকে র্যাবের পক্ষ থেকে গত শুক্রবার এক বিশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা শহরের বড় বড় কোরবানির পশুর হাটে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপত্তা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া ঈদ পরবর্তী যাতে পশুর চামড়া চোরাচালানের মাধ্যমে বিক্রি না হয় সেদিকে র্যাবের বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
রাজধানীতে প্রবেশ এবং বাহির হবার রাস্তাসমূহসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মাঝে মাঝে মোবাইল চেকপয়েন্ট স্থাপন করে তল্লাশি পরিচালনাসহ ভেজাল খাদ্যদ্রব্য প্রতিরোধকল্পে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং স্থানভেদে মোটরসাইকেল টহল বা পায়ে চলা টহল দল নিয়োগ করা হবে।
যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা রোধকল্পে র্যাবের প্রতিটি ব্যাটালিয়নে বিশেষ ষ্ট্রাইকিং রির্জাভ ফোর্স ষ্ট্যান্ডবাই থাকবে। র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও র্যাব ডগ স্কোয়াড সার্বক্ষণিকভাবে বিভিন্ন বাস, ট্রেন, লঞ্চ স্টেশন ও বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক স্যুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত শুক্রবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য সার্বিকভাবে একটা নিরাপত্তার চাদর ছুড়ে দেওয়া, যাতে করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছাড়া এ দেশের সাধারণ মানুষ ঈদুল আজহা উদযাপন করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, জেএমবি, এবিটি ও হিযবুত তাহরীর এদের ওপর আমাদের নজরদারি আছে। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) ও হিযবুত তাহরীরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।