সুনামগঞ্জ-১ আসনে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আ’লীগের ৬ প্রার্থী মাঠে
দলীয় হাইকমান্ড থেকে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবার নির্দেশনা দেওয়ার পর থেকই সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা-তাহিরপুর ও মধ্যনগর) আসনে নির্বাচনী মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে। মাঠ পর্যায়ে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামীলীগের ৬নেতা। তারা প্রত্যকেই দলের মনোয়ন প্রত্যাশায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে চালিয়ে যাচ্ছেন জোর লবিং।
তবে শেষ পর্যন্ত কে পাচ্ছেন দলের টিকেট এ প্রশ্ন্ই এখন মানুষের মূখে মূখে। সাধারণ মানুষের সাথে আলাপ করে জানা যায়, আওয়ামীলীগের প্রার্থীতা প্রত্যাশীরা এখন এলাকায় ব্যাপকভাবে তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ ঈদের ছুটি কাটিয়েছেন নির্বাচনী এলাকায়। এলাকার রাস্তা-ঘাটে দিয়েছেন বিল বোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন। ঈদ ও শারদীয় শুভেচ্ছার পোস্টার সাঁটিয়েছেন পুরো নির্বাচনী এলাকায়। জানান দিচ্ছেন নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থীতার কথা। আবার কোন কোন প্রার্থীর পক্ষে সমর্থকরা ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে এই আসনের আওয়ামীলীগ কর্মীদের মধ্যে আগাম জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। এই নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যাও জেলার অন্য আসনগুলোর চেয়ে বেশি।
দলীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই আসনে এযাবত ৬ জন দলীয় নেতা মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- দলের বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ রফিকুল হক সুহেল। অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জজকোর্টের প্রবীন আইনজীবী আখতারুজ্জামান সেলিম। অ্যাডভোকেট রনজিৎ সরকার, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এড: একরামুল হাসান শিরু।অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার বলেন, বর্তমানে আমি আমার এলাকায় তৃণমূ থেকে কাজ করে যাচ্ছি। দলীয়ভাবে যদি আমাকে মনোনিত করা হয় তাহলে আমি নির্বাচন করবো। আর যদি আমাকে মনোনয়ন না দেওয়া হয় তাহলে নৌকা প্রতীকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে আমি কাজ করবো। সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সিলেট জজকোর্টের প্রবীন আইনজীবী আখতারুজ্জামান সেলিম বলেন, আমি তৃনমূল থেকে উঠে আসা একজন কর্মী। আমি সুনামগঞ্জ ১ আসন নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত কাজ করে আসছি। যদি দলীয় প্রধান আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি নির্বাচন করবো, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এড: একরামুল হাসান শিরু বলেন, যদি শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেন, তাহলে আমার অবহেলিত সুনামগন্জ ১ আসনে ডিজিটাল সোনার বাংলার ছোয়া লাগাতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাবো। পেশী শক্তি নয় ভালবাসা দিয়ে জনগনের মন জয় করবো।
সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, ‘আমি দুইবার মনোনয়ন পেয়ে অনেক ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছি। আমাদের দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের অপেক্ষায় থাকি আমি। দলীয় সভানেত্রীর সকল সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি শতভাগ একমত পোষণ করি। আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনি যেটি ভাল মনে করবেন, সেটিই করবেন’।