ছাতকে কলেজ ছাত্র আল-আমিনের দাফন সম্পন্ন : মামলা দায়ের, আটক ৩
ছাতকে কলেজ ছাত্র খুনের ঘটনায় আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে সাইদুল হক (১৯)কে নিজ এলাকা থেকে জাউয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই শফিকুল ইসলাম, এস আই কামরুল হোসেন ও এ এস আই সমিরন অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। সাইদুল হক, কলেজ ছাত্র আল-আমিন খুনের এজাহারভুক্ত আসামী। সে ছাতকের জাউয়াবাজার ইউনিয়নের লক্ষমসোম গ্রামের আব্দুল হাসিমের পুত্র ও জাউয়া ডিগ্রী কলেজের ছাত্র।
সোমবার দুপুরে একই কলেজের ছাত্র আল-আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করে তার সহপাঠীরা।
এ ঘটনায় জনতা আক্কাছ আলীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। কলেজ ছাত্র আল-আমিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত আল-আমিন(১৮) জাউয়াবাজার ডিগ্রী কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র ও পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের আনফর আলী(কাঁচা মিয়া)’র পুত্র। এ ঘটনায় আহত কলেজ ছাত্র নাজমুল ইসলামকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।
এদিকে নিহতের পিতা আনফর আলী (কাঁচা মিয়া) বাদী হয়ে সোমবার রাতেই ছাতক থানায় আক্কাছ আলীসহ ৩জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা (নং-২১) দায়ের করেছেন।
আটককৃত সাইদুলকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে নিহত কলেজ ছাত্র আল-আমিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডার গাঁও ইউনিয়নের হাজী কনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিহত আল-আমিনের যানাজা অনুষ্টিত হয়। যানাজা শেষে নিজ গ্রাম পলিরচরের পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে যানাজা শেষে এক প্রতিবাদ সভায় আল-আমিন খুনের ঘটনায় নিজ এলাকাবাসীর পক্ষে ৪দিনের কর্মসুচী ঘোষনা করা হয়েছে। কর্মসুচীর মধ্যে মঙ্গলবার মানববন্ধন কর্মসুচী অনুষ্টিত হয়। বুধবার হাজী কনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ, বৃহস্পতিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষর্থীদের কালো ব্যাজ ধারন ও শুক্রবার দোয়ারাবাজারের মসজিদে-মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।