মৌলভীবাজার-শমশেরনগর-চাতলাপুর ও মুন্সীবাজার-কমলগঞ্জ স্থলবন্দর সড়ক চলাচলের অনুপযোগী
নজরুল ইসলাম::
সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌলভীবাজার- শমশেরনগর চাতলাপুর ,মুন্সীবাজার-কমলগঞ্জ স্থলবন্দর সড়কের বেহাল দশা। দীর্ঘ দিন ধরে গর্তে ভরপুর রাস্তাটি দিয়ে যানবাহন চলাচল ও যাত্রীদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে । রাস্তার অবস্থা এতটাই করুন যে, এতে ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।
বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার বরাতে সরজমিন যে প্রতিবেদন উঠে এসেছে তা মৌলভীবাজার- শমশেরনগর-চাতলাপুর ,মুন্সীবাজার -কমলগঞ্জ সড়কে দীর্ঘদিন ধরে গর্ত খানা-খন্দ ও পানি জমে থাকায় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত গর্তে পড়ে যানবাহন গুলো নানা দুর্ঘটনায়ও পতিত হচ্ছে । চাতলাপুর স্থলবন্দর থেকে শমশেরনগর হয়ে মৌলভীবাজার জেলা সদর পর্যন্ত রাস্তাটি প্রায় ৩৮ কিলোমিটার। জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়কটি যাতায়াত মালামাল পরিবহনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জেলা সদরের সাথে সংযোগকারী এ -সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী কয়েক লাখ মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে গত কয়েক বছর থেকে।রাস্তার এহেন বেহাল দশা সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসাধারণ উদ্বিগ্ন।
উক্ত রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করেন স্থানীয় সংশ্লিষ্টরা বলেন, রাস্তাটি বেহাল দীর্ঘ দিন ধরে। বিশেষ করে রোগী ও অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের কষ্টের সীমা নেই। তাৎক্ষণিক রোগীকে মৌলভীবাজার সদরে পাঠাতে হলে পথেই দুর্দশায় পতিত হয়। চাতলাপুর শুল্ক ও স্থলবন্দর হয়ে ভারতের উত্তর ত্রিপুরায় পণ্য ও মালামাল আমদানি-রফতানি ছাড়াও এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ চলাচল করে থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। জেলার সম্প্রতি বন্যায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এ ছাড়াও কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর থেকে মৌলভীবাজার জেলা সদরের ২০ কিলোমিটার সড়কের শমশেরনগর মোকামবাজার, মরাজানেরপার, রাধানগর, রামপুর, মুন্সীবাজার, বাবুরবাজার, চৈত্রঘাট, জয়কালী মন্দির, শ্যামেরকোনা বাজার, লঙ্গুগুরপার, শিমুলতলাসহ সড়কের বেশির ভাগ অংশই গর্ত ও খানাখন্দ। এ ব্যাপারে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ মৌলভীবাজারের উপসহকারী প্রকৌশলী সংলিস্ট এলাকার জনসাধারন ও স্থানীয় সাংবাদিকে জানান, মৌলভীবাজার- শমশেরনগর-চাতলা স্থলবন্দর সড়কের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন।
আপাতত ভারতের সাথে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি পুনরায় প্রতিষ্ঠাতার জন্য জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি ইটের সলিং দিয়ে মেরামতের কাজ শুরু করেছে। পাকা রাস্তার মাঝে মাঝে ইটের সলিং দিয়ে মেরামত করায় সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এবং এটি রাষ্ট্রীয় অপচয় বলে আখ্যায়িত করেন সাধারণ জনগণ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত এই অঞ্চলের প্রবাসী, বিশেষ করে লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশীরা উক্ত সড়ক দিয়ে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।
জেলা সদরের সাথে সেতুবন্ধন করেছে এমন একটি প্রচীন সড়কের বেহাল দশা তাদের প্রবাসী পরিবার, ছেলে মেয়েদের দেশের প্রতি তথা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্তার প্রতি একটি নেগেটিভ মনোবৃত্তি তৈরী করেছে। রাস্তাটির এমন বেহাল দশা থাকা সত্ত্বে কেন রাস্তাটি সংস্কার কাজের আওতায় নিয়ে এসে অনতিবিলম্বে টেন্ডার হচ্ছেনা তা এই অঞ্চলের লন্ডন প্রবাসী সহ দেশ বিদেশের সকল স্তরের মানুষের প্রশ্ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা ও তাহার সরকার প্রবাসীদের স্বার্থসংলিস্ট বিযয়ে খুব-ই আন্তরিক। প্রবাসীদের গঠনমুলক নায্য দাবী মেনে নিতে সরকার বদ্ধ পরিকর। আমাদের বিশ্বাস মৌলভীবাজার জেলা এলজিইডি অতি স্বল্পসময়ের মধ্যে রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করে এই অঞ্চলের জনসাধারণকে কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করিবেন।
লেখকঃ নজরুল ইসলাম,
ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট ওয়ার্কিং ফর ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস,
লন্ডন মেম্বার, দি ন্যাশনাল অটিষ্টিক সোসাইটি ইউনাটেড কিংডম,
আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ঢাকা বাংলাদেশ।