শ্রীমঙ্গলে শেষ হলো একুশে বই মেলা, কবি সাহিত্যিক ও প্রকাশনীকে সম্মাননা প্রদান
ডিএমবি ডেস্ক:
মৌলভীবাজারে এম কে দত্ত পাবলিকেশনের অয়োজনে ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের সহায়তায় শেষ হয়েছে দুই দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা-২০১৯।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গলের কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও প্রকাশকদের সম্মাননা প্রদানের মধ্যদিয়ে ইতিটানা হয় এ প্রাণের মেলার। মেলায় দেশের খ্যাতনামা লেখকদের বইয়ের সমাহার নিয়ে অংশগ্রহন করে এম কে দত্ত পাবলিকেশন, ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ, মুদরণবিদ প্রকাশনী, শ্রীমঙ্গল বই বিপনী, শ্রীমঙ্গল ইত্যাদি ও সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তীর মুক্তিযুদ্ধের বুক স্টলসহ স্থানীয় লেখকদের একাধিক স্টল।
মেলার আয়োজক মনোজ কান্তি দত্ত জানান, মফস্বল থেকে অধিকাংশ মানুষই ঢাকায় কেন্দ্রীয় বই মেলায় যেতে পারেন না। তাই মফস্বলের পাঠকদের হাতের কাছে বই পৌছে দিতে তারা এই মেলার আয়োজন করেছেন।
মেলায় প্রত্যেকদিন বিকেলে আয়োজন হয় শ্রীমঙ্গলের গুনি শিল্পীদের অংশগ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছিল কবিদের কন্ঠে আবৃতি। মেলার সমাপনি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন আমেরিকা প্রবাসী শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সাইয়্যিদ মুজীবুর রহমান, কবি ও গবেষক প্রপেসর নৃপেন্দ্রলাল দাশ, কবি দ্বীপেন্দ্র ভট্টাচার্য্য, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান, র্যাব শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প এর অধিনায়ক আনোয়ার হোসেন শামীম, প্রকাশক ডা: মনোজ কুমার দত্ত, ডা: বিনেন্দু ভৌমিক, ডা: পুস্পিতা খাস্তগির, অধ্যাপক অবিনাশ আচার্য্য ও আবৃতিকার দেবাশীষ চৌধুরী রাজা।
এর আগে শুক্রবার বই মেলার উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মহসীন মিয়া। বই মেলার প্রথম দিনে প্রপেসর অধ্যপক নৃপেন্দ্র লাল দাশ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কবি ডা.সমিরণ দাশ এর লিখা উপন্যাস ‘ ভালোবাসার অশ্রুজল’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
মেলার আহবায়ক ডা: বিনেন্দু ভৌমিক জানান, বই মেলা বাঙ্গালীর প্রাণের মেলা। আকাশ সংস্কৃতির যুগে মানুষ বই এর প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। বই এর প্রতি পাঠকের আগ্রহ বাড়াতে তারা উপজেলা পর্যায়ে এই মেলার আয়োজন করেন। কবি জহিরুল মিঠু জানান, নিজের শহরে বই মেলা হয়েছে ভাবতেই পারছিনা। নিজের হাতে পাঠকদের হাতে বই তুলে দিয়েছি।
একজন লেখক হিসেবে এটি একটি ব্যাপক সফলতা। তাছাড়া বই মেলা না হলে একসাথে তাঁর এতো বই বিক্রি করাও সম্ভব ছিলো না।