সেই ব্রীজ দিয়ে ঝুকি নিয়েই চলল ‘পাহারিকা’
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বড়মচাল ষ্টেশনের কাছে ‘বড়ছড়া’ ব্রীজ অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সিলেট থেকে চট্রগ্রামগামী আন্তনগর পাহারিকা এক্সপ্রেস আটকা পড়ে।
প্রায় পড়ে দেড়ঘন্টা আটকে থাকার পর বিকেল ৪.২০ মিনিটে ঝুকি নিয়ে ট্রেনটি ব্রীজ পাড়ি দেয়।
স্থানীয় ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ জুন রাতে সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের দূর্ঘটনা ঘটলে ৬টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এর মধ্যে ২টি বগি উদ্ধার করে নিয়ে গেলেও বড়ছড়া ব্রীজের নীচে ১ বগি ও ৩টি বগি উদ্ধার করে রেল লাইনের পাশে রাখা হয়। অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের কারণে বড়ছড়ার ভেতর পড়ে থাকায় ছড়ায় পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এতে করে ব্রীজটি ঝুকিতে রয়েছে। পাহাড়ী ঢল অভ্যাহত থাকলে যে কোন সময় ব্রীজ ধ্বসে পরে আবারও সিলেটের সাথে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হতে পারে।
বড়মচাল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইসহাক চৌধুরী ইমরান জানান, গতকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বড়ছড়ায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং একটি বগি ছড়ায় পড়ে থাকায় পানি স্বাভাবিক ভাবে নামছেনা। পানির তোড়ে ব্রীজের একটি পিলারের নীচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তিনি সহ এলাকার আরো কয়েকজন জানান ছড়ার ভেতর পরে থাকা ট্রেনের বগিটি দ্রুত ছড়া থেকে অপসারণ করা না গেলে ব্রীজের ক্ষতি হতে পারে।
এ বিষয়ে কুলাউড়া জংশনের সহকারী ষ্টেশন মাষ্টার মুহিতুর রহমান জানান, খবর পেয়ে রেলওয়ের প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ট্রেন চলাচলে উপযোগী থাকায় প্রায় দেড় ঘন্টাপর ট্রেন চলাচল শুরু করে।