জিয়া অডিটরিয়ামের নাম পুন:স্থাপনের জন্য ৭দিনের আল্টিমেটাম দিল বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে “জিয়া অডিটরিয়াম”র নাম ফলক ভাঙার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি। এসময় নামটি পুন:স্থাপনের জন্য ৭দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয় সেই সাথে আইগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়।
রোববার সকালে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে নাসের রহমান বলেন, “আপনারা সকলেই জানেন যে মৌলভীবাজারের যত অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে তা কেবল একমাত্র দেশের বরন্য জাতীয় নেতা এবং সবচেয়ে সফল অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমানের কল্যানে হয়েছে। এই অডিটরিয়ামটিও উনার একটি অবদান। যেখানে বাংলাদেশের কোন মফস্বল জেলার কলেজেতো দুরে থাক এমনকি ঢাকা/চট্রগ্রামের কোন নামিদামী কলেজেরও কোন নিজস্ব অডিটরিয়াম ছিল না, সাইফুর রহমান তৎক্ষালিন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশেষ বরাদ্ধে জিয়া অডিটরিয়ামের কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু আ.লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই অডিটরিয়ামের কাজ বন্ধ থাকে। পরে ২০০২ সালে আবার কাজ শুরু হয় এবং ৪সালে এম সাইফুর রহমান এর উদ্বোধন করেন “জিয়া অডিটরিয়াম” নামে।”
এম নাসের রহমান আ.লীগ ও ছাত্রলীগকে প্রশ্ন করে বলেন, “কিয়ামত পর্যন্ত তো কেউ ক্ষমতায় থাকবে না। আজ তারা স্বাধীনতার ঘোষকের নাম ফলক ভেঙে যে ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, আগামীতে উনাদের দল যখন ক্ষমতায় থাকবেনা আর উনাদের দলের সম্মানিত মরহুম নেতার নামের স্থাপনা সারাদেশে নামকরণ করা হয়েছে, সেইগুলি যদি কেউ ভেঙে ফেলে তাহলে এই মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগ কি সেটা ঠেকাতে পারবেন? তাদের কি তখন খোঁজে পাওয়া যাবে?”
নাসের রহমান অল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, “জিয়া অডিটরিয়ামের পিতলের নাম ফলক আগামী ৭ সেপ্টেম্বর (২০১৯) এর মধ্যে পুন:স্থাপিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং এই ভাংচুরে সরাসরি জড়িত সকল ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ বিনষ্টের মামলা করার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় বিএনপি নিজ উদ্যোগে উক্ত নাম ফলক পুন:স্থাপিত করার ব্যবস্থা গ্রহন করবে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনিকে এই বিষয়ে সচেষ্ট থেকে নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানাচ্ছি”।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “এই বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষের দেখভালের কথা ছিল। কিন্তু আমি জানি তিনি সেই কাজের মেরুদন্ডহীন। তিনি সরকারি সম্পদ বিনষ্ঠের কারণে মামলা করার কথা ছিল? সরকারি সম্পদ না হলে আমরা মামলা করতাম। যেহেতু এটা সরকারি সম্পদ তাই তৃতিয় পক্ষের এটি করার সুযোগ নেই”।
এসময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফয়জুল করিম ময়ুন, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।