আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, ফলোআপ রাখতে হবে: কামাল হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বলেছেন, “একটি সন্তান যেমন একটি পরিবারের জন্য সম্পদ হতে পারে, একটি সন্তান আপনার পরিবারের জন্য বোঝা হতে পারে। যদি কোনও কারণে আপনার সন্তান মাদকাসক্ত হয়ে যায়, একটা সুন্দর সুশৃঙ্খল পরিবারকে উশৃংখল করে ফেলবে। নষ্ঠ করবে আপনার সংসারের সকল শান্তি শৃঙ্খলা। তাই আপনার সন্তানকে নজর রাখতে হবে। আপনার সন্তানকে সম্পদে রুপান্তরিত করতে হবে। আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে কি করছে, আপনাদের ফলোআপ রাখতে হবে। আমি সন্তানদের বলি, আপনারা যেখানে উপস্থিত আছেন আপনারা আমাদের সন্তানতুল্য”।
তিনি বলেন, “জীবণে সব কিছু পাবেন, মা-বাবাকে পাবেন না। দুটি মানুষই আছে যে তার জীবণের সবকিছু উজার করে দিতে পারে শুধু তার সন্তানের জন্য। আর কেউ আপনাদের জন্য এই কাজ করবে না। তাই আপনাদের মা-বাবাকে সম্মান করবেন। যে সন্তান তার মা-বাবাকে সম্মান করে সে কোনদিন পথহারা হবে না, কোন দিন পথভ্রষ্ট হবে না। সে কোনদিন বখাটে হবে না। সে কোনদিন মাদকাসক্ত হতে পারে না”।
শনিবার সকালে শাহ্ হেলাল উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদকাসক্ত, কিশোর অপরাধ, জঙ্গিবাদ, বাল্য বিবাহ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় তিনি এই বক্তব্য রাখেন।
এসময় কামাল হোসেন অনুরোধ করে বলেন, “মা-বাবার কথার বিকল্প কিছু নাই। একটা জিনিষ মনে রাখবেন, মা-বাবা আপনাদের জন্য সম্পদ। বাবা আপনার ছাতা, মা আপনার পৃথিবী। আমি বিশ্বাস করি। আমর পৃথিবীতে আমি মা-বাবা হারিয়ে ফেলেছি। এখন আমি আমর মায়ের জন্য কাঁদি, আমার বাবার জন্য কাঁদি, কারণ। আমার মা-বাবা পৃথিবীতে থাকতে আমর যে জোর ছিল, শক্তি ছিল, মনোবল ছিল। সেটা এখন আর নাই। এখন যা কিছু করতে হবে, আমার নিজেকেই করতে হবে। তাই কখনও মা-বাবার অবাধ্য হওয়া যাবে না। একটি মা তার জীবণের সবকিছু উজার করে দিয়েও চায় আমার সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করতে। একজন বাবা তার সারা জীবণের সম্পদ, মাথার গাম পায়ে ফেলেও চায় সন্তানকে মানুষ করতে। চায় আমার সন্তান সমাজের উচ্চ আসনে বসবে আমি বুক ফুলিয়ে বাচঁব। এই আশা ভরসা নিয়ে প্রত্যেকটি বাবা তার সন্তানকে দেখে”।
তিনি আরোও বলেন, “তাই আমি সন্তানদেরকে বলব, মা-বাবার কথার অবাধ্য হবেন না। তারপরেই আপনার শিক্ষক। শিক্ষক এমন এক জিনিষ। আমি এই বয়সে এসেও যদি আমার মাধ্যমিক স্কুলের কোন শিক্ষককে পাই। যেখানেই পাই, আমার মন চায় তার পায়ে ধরে কদমচুকি করি। কারণ তাদের জন্যই আমি কামাল হোসেন এই পর্যায়ে। এখানে যারা ডিসি হয়েছেন, শিক্ষককে সম্মান করেছেন বলেই আজকে ডিসি সাহেব, এসপি সাহেব। তাই কখনও শিক্ষককে অসম্মান করবেন না। শিক্ষককে কথার অবাধ্য হবেন না। আপনাদের ভবিষৎ উজ্জল হবে”।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ারুল হক, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সামাদ মিয়া প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়েল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল হক।