ছাত্র রাজনীতির কারনেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি: হানিফ
স্পেশাল রিপোর্টার||
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, অনেকে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য বলছেন। কিন্তু আমাদের ছাত্র রাজনীতির গৌরব উজ্জল ভূমিকা আছে। ছাত্র রাজনীতির ভূমিকার কারনেই আমরা দেশে স্বাধীনতা এনেছি।
শিক্ষকদেও উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ না করে আপনারা বরং শিক্ষকরা পেশাজীবি রাজনীতি বন্ধ করুন। আপনারা শিক্ষকরা পেশাজীবি রাজনীতি করার কারনে ছাত্রদের কাছ থেকে সম্মান হারাচ্ছেন। আপনাদের দলীয় লেজুর বৃত্তি রাজনীতির কারনে ছাত্রদের উপর থেকে আপনারা নিয়ন্ত্রন হারিয়েছেন।
হনিফ আরো বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী ছিলেন না। ১৯৭১ সালে তাকে এক প্রকার জোর করে স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করানো হয়েছিলো। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিলেন পাকিস্থানের এজেন্ট হিসেবে। মুক্তিযুদ্ধে চলাকালে তার পাকিস্থানের সাথে সম্পর্ক ছিলো। ১৯৭৫ সালে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরপরই তার সব কিছু প্রমান হয়ে যায়। জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর পর ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে মন্ত্রী সভা গঠন করেন।
রবিবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন একথা বলেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের শুরুতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দরা। পরে সভায় সম্পাদকের প্রতিবেদন পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নান।
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আছকির মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নানের পরিচালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমেদ এমপি।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দীন সিরাজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য বদর উদ্দিন কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি।
দৈনিক মৌলভীবাজার/কাফি