স্কুলের সামনে ময়লার স্তুপ, অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা
স্পেশাল রিপোর্টার::
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার দক্ষিণ জাঙ্গিরাই মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ময়লা আবর্জনার স্তুপের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা। এতে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ কার্যক্রমও।
জুড়ী বাজারে দক্ষিণ জাঙ্গিরাই মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করেন। এই দুটি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের রাস্তার দুই পাশে আবর্জনার স্তুপ। বিদ্যালয়ের আশেপাশের দোকানিরা ময়লা-আবর্জনা গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানে ফেলার কারণে এমন স্তুপ হয়েছে। দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। আবর্জনার স্তুপ সরাতে কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
তাই শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এ স্থান থেকে দ্রুত ময়লা-আবর্জনার স্তুপ সরানোর দাবি করেছে উপজেলাবাসী।
কথা হয় শিক্ষার্থী তাহিয়া আক্তারের সাথে। সে জানায়, প্রতিদিন এসব ময়লা-আবর্জনার পরিমাণ বাড়ছে। স্কুলে যেতে হলে নাক চেপে যেতে হয়। এত দুর্গন্ধ, বলার বাইরে। আমরা দ্রুত এ স্থান থেকে বর্জ্য অপসারণের দাবি জানাই।
এই স্থান দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন সালমান আহমদ। তিনি জানান, আমাকে এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। দুর্গন্ধের কারণে অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করি। বিকল্প কোনো রাস্তাও নেই। বাধ্য হয়েই ময়লা-আবর্জনার স্তুপের পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজন দোকানির সাথে কথা হলে তারা জানায়, কে বা কারা এইসব ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে তা আমরা দেখতেছি না।
আরেক দোকানি জানান, আশেপাশে কোথাও ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই বা ডাস্টবিনও নেই। এ কারণে বাধ্য হয়েই এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে হয়। তবে নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা হলে সেখানে আর কেউ ময়লা ফেলবে না।
এবিষয়ে দক্ষিণ জাঙ্গিরাই মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এসব ময়লার দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি পাঠদান কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। আশেপাশের দোকানিরা এসব ময়লা ফেলে রাখে। তাদের অনেকবার বলা হইছে এখানে ময়লা না ফেলতে। তারপর তারা শুনে না। আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেছি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অসিম চন্দ্র বনিক বলেন, ‘বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। খুব শিগগিরই ময়লা অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দৈনিক মৌলভীবাজার/ কাফি