এক কোটি বৃক্ষ রোপনের উদ্ভোধনের মধ্য দিয়ে ১৬ জুলাই পালন করা হবে মুজিব জন্মশতবার্ষিকী।
মুজিব বর্ষের আহ্বান,লাগাই গাছ বাড়াই বন এই স্লোগান কে নিয়ে আগামী ১৬ জুলাই জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ১ কোটি বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্ভোদন করবেন জন নেত্রী শেখ হাসিনা।পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় গণভবনে একটি তেতুল ও একটি ছাতিয়ান গাছ রোপণ করার মাধ্যমে জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী শতলক্ষ (১ কোটি) গাছের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। পরিবেশ মন্ত্রী জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ফলদ, একটি বনজ ও একটি ঔষধি গাছের চারা রোপণ করা হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৬ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ মৌসুমে সুবিধাজনক সময়ে দেশের ৪শত ৯২টি উপজেলার প্রতিটিতে ২০ হাজার ৩ শত ২৫ টি করে গাছের চারা রোপণ করা হবে । রবিবার (১২ জুলাই) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ে আয়োজিত অনলাইন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বন মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা এদেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। তারই পথ অনুসরণ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় মুজিববর্ষে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশীয় ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণের এ কর্মসূচির পঞ্চাশ শতাংশের বেশি থাকবে ফলজ গাছ। মন্ত্রী এ মহতী কর্মসূচি সফল করার জন্য মাননীয় সংসদ সদস্যগণসহ দেশের সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা কামনা করেন। তিনি প্রতিটি গাছ রোপণের পর নিয়মিত খোঁজখবর রাখা এবং যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(প্রশাসন) ডক্টর মোঃ বিল্লাল হোসেন এর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব আহমদ শামীম আল রাজী ও মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসেন চৌধুরী, বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ আহমদ, বন গবেষণা ইন্সটিটিউট এর পরিচালক ড. মো. মাসুদুর রহমান এবং ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের পরিচালক পরিমল সিংহসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।