সিলেটের এমসি কলেজের ধর্ষক নর পশুদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি।
নাজমুল সুমনঃডেইলি সিলেট এন্ড দৈনিক মৌলভীবাজার মৌমাছি কন্ঠের সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি ও ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মকিস মনসুর এক বিবৃতিতে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ নর পশুদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতেবৃটেনের কমিউনিটি লিডার ও বিশিষ্ট সাংবাদিক বাংলাদেশের সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর বলেন ধর্ষকের কোনো জাত, গোত্র, দল, বর্ণ,ধর্ম এবং দেশ থাকেনা,ধর্ষকের পরিচয় ধর্ষকই.ওরা নরপশু.ওঁদেরকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি ধর্ষকদের শান্তি যাতে মৃত্যুদন্ড করা৷ হয় এ ব্যাপারে নতুন আইন করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য যে গতকাল সিলেটের এমসি কলেজ হলে স্বামীকে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। এ ঘটনার পর এসএমপির শাহপরাণ থানা পুলিশ শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ছাত্রবাস থেকে স্বামীসহ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। অভিযুক্তদের ধরতে রাত থেকেই সাঁড়াশি অভিযান চালায় পুলিশ। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত এক ধর্ষকের রুম থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানায়- শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসেন এক দম্পত্তি। রাত ৯ টার কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী স্বামীকে মারধোর করে স্ত্রীকে ছিনিয়ে মহিলা ছাত্রী নিবাসে নিয়ে যায়। পরে স্ত্রীর পিছু পিছু স্বামী ছাত্রাবাসে পৌছলে তাকে রশি দিয়ে বেধে ফেলে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এক পর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা ওই বধুকে ৫-৬ জন ছাত্রলীগ কর্মী পালাক্রমে ধর্ষন করে।খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌছলে ছাত্রলীগ কর্মীরা পালিয়ে যায়।
এদিকে- গুরুতর অবস্থায় ওই বধুকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। স্ত্রীর সঙ্গে হাসপাতালেও রয়েছেন স্বামী। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) জ্যোর্তিময় সরকার জানিয়েছেন- পুলিশ গিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে ছাত্রী নিবাস থেকে উদ্ধার করে। এরপর স্ত্রীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ধর্ষক ছাত্রলীগ কর্মীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- নব নির্মিত ওই ছাত্রী নিবাসটি ফাকা রয়েছে। এ কারণে সেখানে বখাটেরা রাতে আড্ডা দিতো।