জাতীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রবাস বাংলা টিভিতে ভ্যার্চুয়াল স্মৃতিচারণ সভা অনুষ্ঠিত।
..নাজমুল সুমন.
বাংলাদেশের পার্লামেন্টারী রাজনীতির ইতিহাসের প্রাণ ও ভাটি অঞ্চলের সিংহ পুরুষ অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারীয়ান নামে খ্যাত বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম সাক্ষরকারী বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতির এক গৌরব ও গর্বের প্রতীক ৬০ এর দশকের সাবেক ছাত্রনেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে গত ৪ টা ফেব্রুয়ারী প্রবাস বাংলা টিভির হ্যালো ওয়েলসে স্মৃতিতে অম্লান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত শীরনামে এক ভ্যার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রবাস বাংলা টিভর হ্যালো ওয়েলসের পরিচালক সাবেক ছাত্রনেতা ও বিশিষ্ট সাংবাদিক হারুন অর রশিদ এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণ সভায় প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ৬০ এর দশকের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের প্রাক্তন প্রেসিডিয়াম সদস্য যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জননেতা সুলতান মাহমুদ শরীফ. যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সফল সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা আনোয়ার উজ্জামান চৌধুরী. লন্ডনস্থ টাওয়ার হ্যামলেটস এর স্পীকার সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আহবাব হোসেন.বৃটেনের বিশিষ্ট সাংবাদিক লেখক ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সুজাত মনসুর. ইউকে ওয়েলস ছাত্রলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইউকে ওয়েলস যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও ওয়েলস আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর. বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক জাতীয় পরিষদের সদস্য ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা কাজী মোহাম্মদ শাহজাহান. যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ খান. ওল্ডহ্যাম যুবলীগের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ সাদেক আহমেদ ও সাবেক ছাত্রনেতা মহিউদ্দিন জগনু.
বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম সাক্ষরকারী বাবু সুরঞ্জিত সেন এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে বক্তারা বলেন ১৯৪৫ সালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় জন্মগ্রহণকারী যিনি মাত্র ২৫ বছর বয়সে ১৯৭০;সালে জাতীয় সংসদের প্রথম এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন এ পর রাজনৈতিক কেরিয়ারে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারীয়ান নামে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। তিনি যখন পার্লামেন্টে বক্তৃতা করতেন, সকল সদস্য সেটা তন্ময় হয়ে শুনতেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নাম সব সময় লেখা থাকবে।অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ মানুষের মাঝে বেশি পরিচিত ছিলেন সংসদে তার চাতুর্যপূর্ণ এবং রসাত্মক বক্তব্যের জন্য। রাজনীতিবিদ হিসেবে বিপক্ষের নেতাদেরও সমীহ পেয়েছেন তিনি।
বক্তারা আরও বলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ষাটের দশকে ছাত্রজীবন থেকেই জড়িত ছিলেন বামপন্থী রাজনীতির সাথে।
সে সময় নাট্য-অভিনেতা হিসেবেও খ্যাতি ছিল মি. সেনগুপ্তের।একজন মহান নেতাকে আমরা হারালাম, তার শূন্যতা পূরণ হওয়া অত সহজ নয়”,
উপমহাদেশের পার্লামেন্টারী রাজনীতির ইতিহাসে সুরন্জিত সেনগুপ্ত নামের এই সূর্য আলো ছড়াবে অনন্তকাল।।