উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বড় সুখবর।স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ ঘটে উন্নয়নশীল দেশের কাতারভুক্ত হলো বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাতেই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছে।
জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় মূল্যায়ন শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শুক্রবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় রাত ২টায় সিডিপি বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে।
এর মধ্য দিয়ে একদা ‘তলাবিহীন ঝুড়ির’ তকমা ঘুচিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় বিশ্বের দরবারে আসীন হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ আর স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় থাকবে না।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতেমা সিডিপির কাছ থেকে এই খবর পাওয়ার পরপরই বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়ে দেবেন। সুখবরটি শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ও সরকারি নীতি নির্ধারকরা বলছেন, এই অর্জন হবে বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক ও গর্বের বিষয়।
জাতিসংঘের সিডিপি তিনটি সূচকের মানের ভিত্তিতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হওয়ার যোগ্যতা মূল্যায়ন করে। সূচকগুলো হলো- মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা।
এই তিনটি সূচকেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
২০১৮ সালের মার্চে প্রথম দফায় বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। নিয়ম হচ্ছে, এলডিসি থেকে বের হতে জাতিসংঘের সিডিপির পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি পেতে হয়।
জাতিসংঘের সিডিপির দ্বিতীয় দফার বৈঠকেও বাংলাদেশ প্রতিটি সূচকেই প্রয়োজনীয় মানদণ্ডের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
স্বীকৃতি পাওয়ার পর প্রস্তুতির জন্য তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়। সে অনুযায়ী ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে বের হওয়ার কথা বাংলাদেশের।
কিন্তু উত্তরণ প্রক্রিয়াকে মসৃণ ও টেকসই করা এবং করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে বাড়তি দুই বছর সময় পেয়েছে বাংলাদেশ।
সিডিপি বাংলাদেশকে এই দুই বছর সময়ও দিচ্ছে। সেই হিসাবে ২০২৬ সালে উত্তরণ ঘটবে অর্থাৎ ওই বছরই উন্নয়নশীল দেশের আনুষ্ঠানিক মর্যাদা পাবে বাংলাদেশ।