নির্লজ্জতাই বড় শক্তি আজ.।
তওহীদ ফিতরাত হোসেন.
সাংবাদিক ও রাজনীতিবীদেরা যদি মানুষের কল্যানে কাজ না করেন তার খেসারত দিতে হয় পুরো জাতিকে। আমাদের দেশ ও জাতি বর্তমানে এমনই এক গহব্বরের ভেতর শ্বাসরোধ অবস্থায় আছে। স্বাধীনতার পর থেকে ধীরে ধীরে দেশের মানুষ অসৎ রাজনৈতিক নেতাদের বিশ্বাসঘাতকতার কারনে আস্থাহীন । নেতাদের দেওয়া অঙ্গিকার শুধু মাত্র বক্তৃতার বিষয় ছাড়া আজ আর অন্য কিছু নয়। যাত্রা সিনেমার মতনই নিছক বিনোদন এখন জনসভা গুলো। হাতে গোনা দু চারজন ব্যতীত জনসভার বক্তব্য কেউ আর মনে রাখেনা। সাংবাদিকগন তেল মারতে ব্যস্ত। কর্পোরেট পরাশক্তির কাছে বিবেক বন্দী। যে সামবাদিকদের বলা হত জাতির বিবেক তারাই আজ বিবেকের সদর দরজায় তালা দিয়ে পেছনের দরজা দিয়া আসা যাওয়া করেন।
সত্য কথা মানুষের কাছে পৌছে দিতে পারেন তারা অথচ বিজ্ঞাপন আর দালালীর ঠিকাদারী হারানোর ভয়ে সংবাদপত্র গুলো আজ পারভার্ট রাজপুত্রদের কলিজার পরিমাপ করে। নমস্য সাংবাদিকরা অবাক করে দেন তাদের চরিত্রের অধঃপতনের স্বাক্ষর রেখে দেন প্রকাশ্যে নির্লজ্জ বেহাপনায়। অথচ স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা এবং দুই স্বৈরাচারের মসনদ কাপিয়ে দেওয়ার মতন বলিষ্ট সাংবাদিকতার কথা আমাদের ভুলে যাবার অবকাশ নেই।
একদিন এই দেশে জমিদারের পুত্র রাজনীতিবিদ হতে গিয়ে নিঃশ্ব হত , সংবাদপত্রের মালিক সর্বহারা । আজ সাংবাদিক নাম হলেই দিনে দিনে সব বদলে যায়। রাজনীতিবিদ পেশাহীন জীবনে অদৃশ্য পুকুরে মাছ চাষ করে শতকোটির মালিক। বেতনের টাকার শতগুণ বেশী সম্পদের মালিক আমলা অবসরে চিভিতে বসে বয়ান দেয় সততার।
যে দেশের রাজনীতিবীদ ও সাংবাদিক চাটুকারে পরিনত হয় সে দেশের কল্যান হয় কি করে ? ভোটার অর্থের বিনিময়ে ভোট বিক্রি করে , নেতা লুটকরে জনগনের সম্পদ , ডাক্তার বিনে অসুখে কিডনি কাটে , চর্মরোগীরেও আইসিইউতে ভর্তি করে। পুলিশ বিনিময় ছাড়া নিরাপত্তা দেয়না। প্রবাসী করোন্টাইন আইন মানেনা। বেআইন করে বেহায়ার মতন বাহাদুরী দেখায় । চুরি করে সম্পদ হলেই হল। কন্যার বাপ মুখ ফেরায়না , বুড়ো ভীম হলেও চলে নেই সমস্যা । শুধু বিত্ত চাই অসৎ সৎ প্রশ্ন এখানে অবান্তর।
অসৎ মানুষের ছেলেরা পড়ে বিদেশে। অসৎ সম্পদে ব্যারিষ্টার হয়েই বলে বেড়ায় সততার কথা যেমন আমাদের আন্ডালিব ভাজা ( ভাগিনা ও জামাই ) । বাপের নাম ছিল বাগদাদের চোর সেও এখন নেতার নেতা। বড় বড় কত কথা যেন সে ফেরেশতার বাচ্চা !
সৎ মানুষ আজ দিশেহারা। সততাই লজ্জার কারন যেন। সৎ হলে লোকে ভাবে সে ভন্ড। নির্বাচিত করবে জনগন অসৎ মানুষ। ভোট পায় না সৎ লোক। কিন্তু চিৎকার করে দুদিন পরেই সব গেল সব গেল। নিজে যদি ঠিক না হোন অন্যকে দোষারোপ করবেন কেন ? চারিদিকে অসৎ লুটেরা।
একজন ঠাকুর গর্জে উঠুক গহ্বর সিং নিপাত হউক। জয় বাংলা।
তওহীদ ফিতরাত হোসেন।
ইংল্যান্ড
৮/০৫/২১