জিএসপি সুবিধা নিয়ে বাঙলাদেশ আশাবাদী

ডেস্ক রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ‘জিএসপি’ সুবিধা বহাল রাখার বিষয়ে ওয়াশিংটনে শুনানি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে (বাংলাদেশ সময় রাতে) মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) শুনানিতে বাংলাদেশ সুবিধাটি বলার রাখার পক্ষে যুক্তি উত্থাপন করেছে। শুনানিতে সরকারি-বেসরকারী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ দল অংশ নিয়েছে।
প্রতিনিধি দলের প্রধান বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ শুনানি শেষে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সব বিষয়ের সন্তোষজনক জবাব দিয়েছে। আশা করি, সুবিধাটি বহাল থাকবে।’ গত বছরের ডিসেম্বরে আমেরিকান ফেডারেল অব লেবার কংগ্রেস ফর ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (এএফএলসিআইও) বাংলাদেশ শ্রম অধিকার বাস্তবায়নে পিছিয়ে রয়েছে মর্মে ইউএসটিআরে একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ আমলে নিয়ে ইউএসটিআর শুনানির আয়োজন করে। শুনানিতে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক ফেডারেশন ‘এএফএল-সিআইও’র প্রতিনিধিত্ব করেন ফেডারেশনের বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সিলেস্ট ড্র্যাক।
তাদের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়- বাংলাদেশে পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে কিনা, শ্রমিক ইউনিয়নের অবাধ অধিকার রয়েছে কিনা, শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলামের খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার শুরু হয়েছে কিনা, শ্রমিকরা ন্যায্য পারিশ্রমিক পাচ্ছে কিনা ইত্যাদি বিষয়। দুই পর্বে এই শুনানি হয়। প্রথম পর্বে দরখাস্তকারী হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ড্র্যাক এবং দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে বিজিএমইএ- এর সদ্য বিদায়ী সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিকেএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বেপজা চেয়ারম্যান কে এম মমিনুর রহমান, সিপিডি নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, পররাষ্ট্র দপ্তরের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উপপ্রধান এম এ মুহিত, কমার্স কাউন্সেলর শফিকুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে রপ্তানির প্রধান পণ্য তৈরি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি বা শুল্কমুক্ত প্রবেশ সুবিধা পায় না।