শপথ নিলেন নতুন চার বিচারক

ডেস্ক রিপোর্ট : সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া চার বিচারককে শপথ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের আপত্তির মুখেই রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জাজেজ গ্রাউন্ডে চার বিচারককে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলাম। শপথ গ্রহণকারী চার বিচারক হলেন- আনোয়ারুল হক, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাই কোর্ট বিভাগের অন্যান্য বিচারকরাও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, শপথ অনুষ্ঠান বর্জন করে একই সময়ে সুপ্রিম কোর্টের মূল ফটক আটকে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। এরআগে গত বৃহস্পতিবার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ এই চার বিচারককে নিয়োগ দেন। হাই কোর্ট বিভাগের বিচারক এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ কয়েকজনের নিয়োগের বিষয়ে নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আসছিল সরকারবিরোধী আইনজীবীরা।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতের দুই নেতা- মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও আব্দুল কাদের মোল্লার আপিলের শুনানির আগে আপিল বিভাগে এই নিয়োগ দেয়া হলো। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের ৩ জুলাই বিচারক আনোয়ারুল হক হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর তিনি স্থায়ী হন ২০০৩ সালের ৩ জুলাই।
ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান ২০০২ সালের ২৯ জুলাই। তিনি স্থায়ী হন ২০০৪ সালের ২৯ জুলাই।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। আর একই বছরের ৩ জুলাই অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। কিন্তু তারা নির্দিষ্ট মেয়াদের পর স্থায়ী নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হন।
পরে উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ তারা স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান