ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত সহ্য করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত হানা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। যারাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।” রোববার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের মুলতুবি সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “ফেসবুক, ব্লগ, টুইটসহ যেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা হচ্ছে সেগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এটা সরকারের দায়িত্ব এজন্য কোনো দল বা গোষ্ঠীকে আন্দোলন সংগ্রাম করা ও কর্মসূচি দেয়ার প্রয়োজন নেই। একজন মুসলমান হিসেবে এটা আমি উপলদ্ধি করতে পারি। ইতিমধ্যে হযরত মুহম্মদকে (সা.) নিয়ে ব্যঙ্গ ভিডিও চিত্র দেয়া হয়েছিল। সরকার সঙ্গে সঙ্গে সেটা বন্ধ করে দিয়েছে।”প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধী দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশ ধ্বংসে উঠেপড়ে লেগেছে। দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে যা যা করা দরকার তাই তাই করছে। তারা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ পুড়িয়ে মারছে, পুলিশ হত্যা করছে, হিন্দুদের বাড়িতে অগ্মি সংযোগ হামলা করছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধী দল এখন প্রকৃতির সঙ্গেও লড়াই শুরু করেছে। তারা গাছ উপড়ে ফেলছে, গাছ কেটে রাস্তায় ফেলছে।” বিরোধী দলের প্রতি প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রকৃতি আপনাদের সঙ্গে কী করেছে যে প্রকৃতিও ক্ষতি করতে হবে? ক্ষমতায় যাওয়া এতই খায়েস?” গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের নৈরাজ্য করা হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবেন, ধ্বংস যজ্ঞ চালাবেন, এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। জানমালের নিরাপত্তা দিতে যা যা করা দরকার তা-ই তা-ই করা হবে।”
বিরোধীদলীয় নেতার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনার মনে অশান্তি। তাই দেশের জনগণকেও শান্তিতে থাকতে দেবেন না। নিজের অশান্তির জন্য দেশের মানুষের শান্তি নষ্ট করবেন না।” বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি ব্যবহারে দেশবাসীকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধী দল দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যর্থ হয়েছিল, আমরা এসে উৎপাদন করছি। তাই ওনার ভালো লাগে না; যে কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিচ্ছে।”