বিশ্বনাথ থানার ওসি’কে প্রধান আসামী করে নিহত জামায়াত কর্মী রব্বানীর পিতার মামলা

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : বিশ্বনাথে গত ২০ মার্চ জামায়াতের ডাকা হরতালের দিন পুলিশের সাথে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্বনাথ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদকে প্রধান আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।গুলিতে নিহত জামায়াত কর্মী গোলাম রব্বানীর পিতা মুহিবুর রহমান নিজাম বাদি হয়ে গতকাল রবিবার সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। বিশ্বনাথ দরখাসত্ম মামলা নং ৩০/২০১৩ ইং। দায়ের করা মামলায় ১৪ পুলিশ সদস্যের নাম উলেখ করে ও আরো পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন- বিশ্বনাথ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদনত্ম) রূপক কুমার সাহা, এসআই মোঃ জিয়া উদ্দিন উজ্জল, ইসমাইল হক, এএসআই মাজহারম্নল ইসলাম, কন্সষ্টেবল আবু মুসা, কবির হোসেন, টিটু সিংহ, তৌফিক, মোসত্মাক, আব্দুলস্নাহ আল মামুন, শরিফ উদ্দিন, কাউছার, কৃঞ্চ গোপাল।
দরখাসত্ম মামলার এজাহারে বাদী উলেস্নখ করে বলেন, আমার ছেলে গোলাম রব্বানী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একনিষ্ট কর্মী ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড শাখার সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করে আসিতেছিল। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর এডভোকেট এহাছানুল মাহবুব জুবায়েরসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি এবং দেশব্যাপী চলমান গণহত্যা বন্ধের দাবিতে জামায়াত ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে গত ২০ মার্চ সকালে বিশ্বনাথ উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে অনুষ্ঠিতশানিত্মপূর্ণ মিছিলে আমার ছেলে বরাবরের ন্যায় অংশগ্রহন করে। মিছিলটি বিশ্বনাথ বাজারের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় সামনদিক থেকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিনা উস্কানিতে বিশ্বনাথ থানা ওসি আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে আসামীগণ পুলিশ রেগুলেশন এ্যাক্ট ভঙ্গ করে আমার ছেলেসহ মিছিলকারীদের উপর নির্বিচারে টিয়ারশেল, সাইন্ড গ্রেনেড, গুলি, রাবার বুলেট, চাইনিজ রাইফেলের গুলি বর্ষণ করে।এক পর্যায়ে ওসির নির্দেশে ২নং আসামী এসআই জিয়া উদ্দিন উজ্জল তার নামে ইস্যুকৃত চাইনিজ রাইফেল হতে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করলে তার ছোড়া গুলিতে আমার ছেলের মাথায় বাম দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয়ে লুঠিয়ে পড়ে। অভিযোগ পত্রে বাদী আরো উলেস্নখ করেন বলেন, অতঃপর প্রত্যড়্গদর্শী স্বাড়্গীদের সহযোগীতায় আমার ছেলে ও অন্যান্য জখমীদেরকে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ছেলে গোলাম রব্বানীকে মৃত ঘোষণা করেন।