মৌলভীবাজারে হরতাল পালিত : বিড়্গিপ্ত পিকেটিং
মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি : দেশব্যাপী জামায়াত এবং বিএনপি আহুত সকাল-সন্ধ্যা হরতালের দ্বিতীয় দিনে মৌলভীবাজারে শানিত্মপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। হরতাল চলার সময় শহরের জুগিডর, শমসেরনগর সড়ক ও শ্রীমঙ্গল সড়কে রাসত্মা অবরোধ, মিছিল ও টায়ার জ্বালিয়ে দেয় জামায়াত-শিবিরের হরতালকারীরা। পুলিশ পৌছে তাদেরকে দফায় দফায় বাঁধা দেয়। পুলিশের বাঁধার কারণে বিড়্গুব্ধ নেতাকর্মীরা লাঠি মিছিল বের করে। তবে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যায়নি। মঙ্গলবার শহরের কোথাও বিএনপি নেতাকর্মীদের দুপুর পর্যনত্ম মাঠে দেখা না গেলেও জামায়াত-শিবির, ছাত্রদল ও যুবদলের কর্মীরা ছিল ভোর থেকে তৎপর ছিল। বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা রাসত্মায় ব্যারিকেড দিয়ে পিকেটিং করতে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে পিকেটারা সটকে পড়ে। দূরপালস্নার যানবাহন চলাচল না করলেও ছোট ছোট যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অফিস ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় কম ছিল। শহরের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজিত জামায়াত-শিবিরের বিড়্গুব্ধ নেতাকর্মীরা লাঠি মিছিল করে। পশ্চিম বাজার, জুগিডর, শমসেরনগর সড়ক ও শ্রীমঙ্গল সড়কে লাঠি মিছিল করে জামায়াত। সাধারণ মানুষের মধ্যে এ সময় আতংক বিরাজ করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন মৌলভীবাজার জেলা সেক্রেটারী শাহেদ আলী, পৌর আমীর ইয়ামীর আলী, সদর উপজেলা আমীর শাহ আলা উদ্দিন, রাজনগর উপজেলা আমীর মাও: হারম্ননুর রশিদ তালুকদার, শিবিরের মৌলভীবাজার শহর সভাপতি হাফেজ তাজুল ইসলাম, শিবির জেলা সভাপতি দেলোওয়ার হোসেন, শহর সেক্রেটারী ফখরম্নল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারী আল মাহমুদ, শহর সাংগঠনিক সম্পাদক মুর্শেদ আহমদ প্রমুখ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া জেলার সাতটি উপজেলায় বিড়্গিপ্তভাবে হরতাল পালিত হয়েছেন। জেলার কোথাও হরতালে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।