কমলগঞ্জে এক দিন মজুরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)ঃ দাদনের ৫০০ টাকার জন্য কমলগঞ্জে ছমেদ মিয়া (৪৫) নামে এক দিন মজুরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে হয়েছে বলে নিহত দিন মজুরের মা অভিযোগ করেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, কমলগঞ্জের ভূমিগ্রামের মৃত আবাস মিয়ার ছেলে ছমেদ মিয়া পার্শ্ববর্তী সরিষকান্দি গ্রামের বশির মিয়ার ছেলে বদরুল ইসলামের কাছ থেকে বছর খানেক পূর্বে ২ মন ধানের লগ্নি নেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে মুন্সীবাজারের ভেতর বাজার এরশাদ মিয়ার চায়ের দোকানে গিয়ে ছমেদ দাদনের টাকার এক হাজার পাঁচশত টাকার মধ্যে বদরুলকে এক হাজার টাকা দেন। এ সময় সমুহ টাকা দেয়ার জন্য ছমেদকে চাপ দেন বদরুল। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বদরুল। মারধর করেন ছমেদকে। কিল, ঘুষি আর চরথাপ্পর মারার এক পর্যায়ে মাটিতে ঢলে পড়ে ছমেদ। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ডাক্তার সুমন আচার্য্যরে চেম্বারে নেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছমেদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে একটি এম্বুলেন্স যোগে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। এ ঘটনার পর প্রভাবশালী একটি মহল বদরুলের পক্ষ নিয়ে ঘটনাটি হার্টএটাক হয়ে মারা যায় বলে প্রচার করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। ওই মহল আজ মঙ্গলবার সকালে তাড়াহুরো করে ছমেদের লাশ দাফনের উদ্যোগ নিলে তার আত্মীয়স্বজনরা এতে বাধা দেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী মহলের চাপে লাশ দাফনের উদ্যোগ নেয়া হয়। ঘটনাটি স্থানীয় সংবাদকর্মীরা জানার পর ছমেদের বাড়িতে গেলে তার মা এশা বিবি বলেন, ধানের লাভের টাকার জন্য বদরুল আমার ছেলেকে মারধর করে মেরে ফেলে। সাংবাদিকদের পরিচয় পাওয়ার পর বাড়িতে অবস্থানকারী কয়েকজন পুরুষ ও মহিলারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলার জন্য এশা বেগমকে বলেন। এক পর্যায়ে এক মহিলা ছমেদের মাকে সংবাদকর্মীর সামন থেকে নিয়ে যান। পিটিয়ে এক দিন মজুর মারার সংবাদ পাওয়ার কথা স্বীকার করে কমলগঞ্জ থানার ওসি নিহার রঞ্জন নাথ বলেন, এ ব্যাপারে পরিবারের কেউ অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।