সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জামায়ােতর কোনো ভূমিকা নেই

েডস্ক ইরেপার্ট : সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জামায়াতের কোনো ভূমিকা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, “ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ১৯৪৬ সালে জামায়াত প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জামায়াতের কোনো ভুমিকা নেই। যতগুলো সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগের লোকজনই ধরা পড়েছে।” শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে কৃষক দল আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর এ কথা বলেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “শাহবাগ ফেল করেছে এখন নিয়ে আসছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং আওয়ামী লীগ এসব দাঙ্গা করে বিএনপি-জামায়াতের ওপর চাপাতে চায়। একই কোর্টে একেকজনের বেলায় একেক আদেশ দেয়া হয়।” চেহারা দেখে রায় লেখা হয় বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি এই নেতা। তিনি বলেন, “আদালত-বিচার বিভাগ ও পুলিশের কারণে স্বল্পসংখ্যক লোক নিয়েও অতিমাত্রায় স্বৈরাচারী আচরণ করতে সক্ষম হয়েছে আওয়ামী লীগ। পুলিশকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে নির্বিচারে মানুষ মারার।” গয়েশ্বর সাবধান করে বলেন, “সরকার অবশ্যই পরিবর্তন হবে। এখন যেভাবে প্রশাসনকে আমাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হচ্ছে তখন আমরা যদি আমাদের ইচ্ছামতো তাদের কাজে লাগাই, তখন কেমন হবে।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতার সময়ে দেশপ্রেম নিয়ে যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে তারা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে গেছেন। আর কিছু লোক বিত্তবান হওয়ার জন্য লুণ্ঠনের উদ্দেশে যুদ্ধে অংশ নেয়।” কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান দুদু’র সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দলের নেতা জামাল উদ্দিন খান মিলন প্রমুখ